রবিবার, ২০ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

ঢাকা বাইপাস রূপান্তর হচ্ছে এক্সপ্রেস সড়কে

৪৮ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণে ব্যয় হবে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা, ৪০ মিনিটে পৌঁছা যাবে মদনপুর থেকে কড্ডায়

নিজামুল হক বিপুল

ঢাকা বাইপাস রূপান্তর হচ্ছে এক্সপ্রেস সড়কে

এক্সপ্রেস সড়ক হিসেবে রূপান্তর হচ্ছে নারায়ণগঞ্জের মদনপুর থেকে গাজীপুরের কড্ডা পর্যন্ত ঢাকা বাইপাস সড়ক। এটি হবে ঢাকা-মাওয়ার পর দেশের দ্বিতীয় এক্সপ্রেস সড়ক। পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপে তিনটি কোম্পানি জয়েন্ট ভেঞ্চারে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করবে চার লেনের এই এক্সপ্রেস সড়ক। ইতিমধ্যে সড়ক ও জনপথ বিভাগের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে কোম্পানি তিনটি। আগামী ৯ মাসের মধ্যে কাজ শুরু হবে। এই সড়ক নির্মাণ হলে মদনপুর থেকে কড্ডা পর্যন্ত পৌঁছতে সময় লাগবে ৪০ মিনিটের মতো। প্রকল্প ও সড়ক  বিভাগ সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য। প্রকল্প সূত্র জানায়, নারায়ণগঞ্জের মদনপুর থেকে গাজীপুরের কড্ডা পর্যন্ত ৪৮ কিলোমিটার বাইপাস সড়ককে চার লেনের এক্সপ্রেসওয়েতে রূপান্তরের জন্য দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা চলছিল। শেষ পর্যন্ত গত বছরের ৬ ডিসেম্বর এই প্রকল্পের জন্য সড়ক ও জনপথ অধিদফতর চুক্তি স্বাক্ষর সম্পন্ন করে চীনের এসআরবিজি এবং বাংলাদেশি ইউডিসি ও এসইএল-এর সঙ্গে। প্রকল্পের আওতায় মদনপুর থেকে কড্ডা পর্যন্ত মূল এক্সপ্রেস সড়ক হবে চার লেনের। এর বাইরে সড়কের দুই পাশে থাকবে আরও দুটি লেন। এগুলোর প্রশস্ততা হবে দেড় লেন করে। এ প্রকল্পে প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে তিন হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এই ব্যয় আরও বাড়তে পারে। এ প্রকল্পে সরকারের অংশগ্রহণ হচ্ছে ২৩০ কোটি টাকা। যা ২৫ বছরে পরিশোধ করবে সরকার। প্রকল্পের আওতায় গাজীপুরের ভোগড়া, মিরেরবাজার, বস্তুল, ধীরাশ্রম ও কাঞ্চন সেতুর আগে নির্মাণ করা হবে পাঁচটি ফ্লাইওভার। ২৫টি আন্ডারপাস। যেহেতু সড়কের একটা বড় অংশ যাবে পূর্বাচলের ওপর দিয়ে, সে কারণে আন্ডারপাসকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। কাঞ্চনে শীতলক্ষ্যা নদীর চার লেনের সেতুসহ তিনটি বড় সেতু নির্মাণ করা হবে। এর সবগুলোই হবে চার লেনের। এর একটি হবে উলুখোলা ও অন্যটি হবে নাগদায়। এই প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) সবুজ উদ্দীন খান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছে তাতে নির্মাণ কাজ শুরুর দিন থেকে চার বছরের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। চুক্তি অনুযায়ী আগামী ৯ মাসের মধ্যে নির্মাণ প্রতিষ্ঠানগুলো প্রকল্পের জন্য ঋণ মঞ্জুর করবে। এরপর কাজের চুক্তি হবে। তিনি জানান, কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তিন থেকে চার মাসের মধ্যে তারা ঋণ মঞ্জুরসহ কাজের চুক্তি সম্পন্ন করবে। সরকারের এ মেয়াদেই এই প্রকল্পের কাজ শেষ করে এক্সপ্রেসওয়েটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়ার আশা প্রকল্প কর্মকর্তার। প্রকল্প সূত্র জানায়, এই প্রকল্প বাস্তবায়নের পর নির্মাণ প্রতিষ্ঠান ২৫ বছর এটি তাদের নিয়ন্ত্রণে রাখবে। ওই সময়ের মধ্যে সড়কের টোল থেকে তারা নির্মাণ ব্যয় তুলে নেবে। এরপর সড়কটি সড়ক ও জনপথ অধিদফতরকে বুঝিয়ে দেবে। সূত্র আরও জানায়, যেসব যানবাহন এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে চলাচল করতে চাইবে না সেগুলো দুই পাশের লেন ব্যবহার করতে পারবে। সেক্ষেত্রে তাদের কোনোরকম টোল দিতে হবে না।

সর্বশেষ খবর