রবিবার, ৩১ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা
নদী বাঁচাও ৪৪

বর্জ্যরে স্তূপে পূর্ণ যমুনেশ্বরী

সাইফুর রহমান রানা, বদরগঞ্জ (রংপুর)

বর্জ্যরে স্তূপে পূর্ণ যমুনেশ্বরী

নদীর নাম যমুনেশ্বরী। নদীটিকে আবার কেউ কেউ ডাকে মরা তিস্তা নামে। যুগ যুগ ধরে নদীটি ভিন্ন ভিন্ন নামে পরম মমতায় আবদ্ধ করে রেখেছিল গোটা পৌরশহরের মানুষকে। ধরিত্রীর বুক চিরে বয়ে চলা প্রমত্তা যমুনেশ্বরীর সেই যৌবন আর নেই। পালতোলা নৌকা আর জেলেদের জারি-সারি গান যেন সুদূর অতীত। নদী দখল, ড্রেজিং ব্যবস্থা না থাকা, অব্যবস্থাপনা আর বর্জ্যরে স্তূপে পূর্ণ মরা তিস্তার যেন ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। সরেজমিনে মরা তিস্তা নদী পরিদর্শনে গিয়ে এমনই চিত্র চোখে পড়ে। মরা তিস্তা নামক নদীটি গোটা পৌরসভাকে ঘিরে রেখেছে। এরই মূল কেন্দ্রস্থলে শাহাপুর ব্রিজ অবস্থিত। ব্রিজের নিচেই অর্থাৎ নদীতেই ফেলা হচ্ছে পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা। দেখে যেন মনে হয় এই জায়গাটিই ময়লা-আবর্জনা ফেলার নির্ধারিত স্থান। পৌরসভার ময়লা-আবর্জনার গাড়ি এসে অবলীলায় ফেলছে এর ভিতর দিয়ে চলা নদীটিতে। ময়লা-আবর্জনার উৎকট গন্ধে অতিষ্ঠ পথচারী, মুসল্লি, মহিলা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থীসহ হাসপাতালগামী রোগীরা। কথা হয় ব্রিজ দিয়ে চলাচল করা স্কুলশিক্ষার্থী ফিরোজ আলী ও মহিলা কলেজ শিক্ষার্থী শারমিন আক্তারের সঙ্গে। তারা জানান, দুর্গন্ধে রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করা যায় না। তারা জানান, ময়লা ফেলতে ফেলতে নদীটি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আবর্জনার উৎকট গন্ধে হাঁটা দায়। সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর নীলকান্ত পাইকার জানান, নদীতে ময়লা-আবর্জনা ফেলে গতিপথে বাধা সৃষ্টিসহ ভরাট করা মোটেও ঠিক নয়। কথা হয় বদরগঞ্জ মহিলা ডিগ্রি কলেজের জীববিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আমিনুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘নদীতে ময়লা-আবর্জনা ফেলে নদীর গতিপথ বাধাগ্রস্ত করে আমরা আমাদেরই ক্ষতি করছি।’ তিনি দ্রুত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান। বদরগঞ্জ পৌর মেয়র উত্তম কুমার সাহা বলেন, ‘শাহাপুর ব্রিজের পাশে পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা ফেলার বিষয়টি আমার জানা নেই। যদি এ রকম হয় তাহলে ময়লা-আবর্জনা দ্রুত পরিষ্কার করা হবে।’

সর্বশেষ খবর