রবিবার, ৩ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

সিআইপির সংখ্যা বাড়াচ্ছে সরকার

সংশোধন হচ্ছে নীতিমালা

রুকনুজ্জামান অঞ্জন

দেশে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা কমার্শিয়ালি ইমপর্ট্যান্ট পারসনের (সিআইপি) সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে সিআইপি নীতিমালা সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। খসড়া নীতিমালায় বাণিজ্য খাতে সিআইপি ১৮৫ তে  সংখ্যা বাড়িয়ে ৭২ জন এবং রপ্তানি খাতে সিআইপির (এক্সপোর্ট) সংখ্যা বাড়িয়ে  ১৮৫ তে উন্নীত করার কথা বলা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তপন কান্তি ঘোষ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, এফবিসিসিআইর যে ৪৮ জন পরিচালক ছিলেন শুধু তারাই পদাধিকারবলে বাণিজ্য খাতে সিআইপি হতেন। তবে ব্যবসায়ীদের ওই শীর্ষ সংগঠনটির পরিচালকের সংখ্যা বেড়ে এখন ৮০ তে উন্নীত হয়েছে। এ জন্য তারা সিআইপি ট্রেড বাড়ানোর আবেদন করেছে। এ ছাড়া রপ্তানি বাণিজ্যে ২২টি শিল্প খাতে পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে ১৪০ জন ব্যবসায়ীকে সিআইপি (এক্সপোর্ট) ঘোষণা করা হয়। তবে বর্তমানে সেবা খাতেও নতুন নতুন পণ্য রপ্তানিতে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে। এ লক্ষ্যে আরও ১৫টি খাত অন্তর্ভুক্ত করে মোট ৩৭টি খাতে ১৮৫ তে উন্নীত করার সুপারিশ করা হয়েছে। রপ্তানি খাতে সিআইপি মনোনীত করার জন্য নির্ধারিত ৩৭টি খাত হচ্ছে : কাঁচাপাট, পাটজাত দ্রব্য, চামড়া, চামড়াজাত দ্রব্য, হিমায়িত খাদ্য, চা, তৈরি পোশাক (ওভেন), কৃষিজাত পণ্য (তামাক ব্যতীত), এগ্রোপ্রসেসিং, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, ওষুধ, হস্তশিল্প, স্পেশালাইজড টেক্সটাইল, তৈরি পোশাক (নিট) সব ধরনের সুতা, ডেনিম ফেব্রিক্স ও পোশাক, টেরিটাওয়েল, ফুল-ফলিয়েজ, সব ধরনের ইলেকট্রিক পণ্য, ইজেড/ইপিজেড তৈরি পোশাক, ইজেড/ইপিজেড অন্যান্য পণ্য, ইজেড/ইপিজেড সেবা খাত, প্যাকেজিং এক্সেসরিজ, সিরামিক পণ্য, প্লাস্টিকজাত পণ্য, মেলামাইন পণ্য, টেক্সটাইল ফেব্রিক্স, জাহাজ নির্মাণ শিল্প, আসবাব, নারী উদ্যোক্তা, বিবিধ পণ্য (জুয়েলারি, হ্যাটওক্যাপ, টয়লেট্রিজ এবং অন্যান্য), কম্পিউটার হার্ডওয়্যার ও কম্পিউটার পেরিফেরালস, কনসালটেন্সি ও মেইনটেন্যান্স, সফটওয়্যার ও আইসিটি এনাবল সার্ভিসেস, টেলিকমিউনিকেশন অ্যান্ড ইনফরমেশন, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি এবং অন্যান্য সেবা খাত। খসড়া নীতিমালায় বলা হয়েছে, প্রতিবছর সিআইপি নির্বাচনকালে প্রাপ্ত আবেদনের সংখ্যা এবং আবেদনকারীর রপ্তানি আয়ের ভিত্তিতে পণ্য ও সেবা ওয়ারি বিভাজন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রয়োজন অনুযায়ী কম-বেশি করতে পারবে। বাণিজ্যমন্ত্রীর অনুমোদনক্রমে নতুন পণ্য বা সেবা খাত অন্তর্ভুক্ত করা যাবে বা অপ্রয়োজনীয় খাত বিলুপ্ত করা যাবে। আবেদনকারী ঋণখেলাপি বা আয়কর খেলাপি হলে তিনি সিআইপি নির্বাচনের জন্য বিবেচিত হবেন না। আদালতে সাজাপ্রাপ্ত অথবা অন্য কোনো কারণে অবাঞ্ছিত ব্যক্তি সিআইপির যোগ্য বিবেচিত হবেন না। একক মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে স্বত্বাধিকারী, অংশীদারি ফার্মের ক্ষেত্রে মনোনীত অংশীদার এবং কোম্পানির ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনা পরিচালক/চেয়ারম্যান, চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার বা মনোনীত পরিচালক যিনি ওই কোম্পানির বেতনভুক্ত কর্মকর্তা নন এমন ব্যক্তি সিআইপি রপ্তানির জন্য আবেদন করতে পারবেন। সিআইপির মেয়াদ হবে এক বছর। তবে পরবর্তী সিআইপি ঘোষণা না করা পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

 

সর্বশেষ খবর