শিরোনাম
শুক্রবার, ১৫ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

নেই স্বাস্থ্যবিধি ভিড়ের মধ্যেই ঈদের বেচাকেনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

নেই স্বাস্থ্যবিধি ভিড়ের মধ্যেই ঈদের বেচাকেনা

সদরঘাটে মার্কেটে গতকাল উপচে পড়া ভিড় -বাংলাদেশ প্রতিদিন

করোনাভাইরাসের ভয়াবহ সংক্রমণের মধ্যেই রাস্তায়, মার্কেটে, শপিং মলে মানুষের কমতি নেই। সরকারি শৈথিল্যে বদলে গেছে রাজধানীর নিত্যচিত্র। ঘরবন্দী মানুষের মধ্যে শুরু হয়ে গেছে ঈদ উৎসবের আমেজ। শারীরিক দূরত্বের কোনো বালাই নেই। গায়ে গা মিশিয়ে, পায়ে পা লাগিয়ে অবিরাম ছুটে চলছেন সবাই। সবার লক্ষ্য ঈদ উপলক্ষে কেনাকাটা করা। নিজে সংক্রমিত হওয়ার কোনো ভয়-আতঙ্ক নেই। অন্যকে সংক্রমিত করারও কোনো দায়বোধ নেই। যেন সব দায়দায়িত্ব সরকারের। তবে অন্যান্য বছরের মতো না হলেও মোটামুটি দুই দিনের ব্যবধানেই সেজেছে রাজধানীর দোকানগুলো। এসব দেখে কারও মনে হওয়ার উপায় নেই যে দেশে মহামারী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব চলছে। খুলে দেওয়া মার্কেটগুলোতে বিরাজ করছে কোলাহলমুখর পরিবেশ। রাজধানীর উত্তরা, মিরপুর, যাত্রাবাড়ী, গুলিস্তান, মোহাম্মদপুর, এলিফ্যান্ট রোড, খিলগাঁওয়ের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। যেন করোনার আতঙ্ক মিলিয়ে গেছে ঈদের বাজারে। মার্কেটে মার্কেটে জমে উঠেছে বেচাকেনা। তার প্রমাণ দিচ্ছে বিক্রেতাদের হাসিমুখ। পোশাক এবং মোবাইল ফোনের দোকানে ক্রেতাদের ভিড় বেশি। এদিকে এসব মার্কেটের অনেক জায়গায় মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। যদিও মার্কেটের প্রবেশপথে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আছে হ্যান্ডস্যানিটাইজারও। তবে মানুষের তুলনায় এ ব্যবস্থা অপ্রতুল। করোনার সংক্রমণ রোধে তিন ফিট দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলা হলেও কোনো দোকানি বা ক্রেতা তা মানছেন না। ব্যবসায়ীরা বলছেন, তারা পেটের দায়েই দোকান খুলেছেন। দীর্ঘদিন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছেন। ঈদকে সামনে রেখে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু করায় সেই ক্ষতির পরিমাণ কিছুটা হলেও কমিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে। যাত্রাবাড়ী তাজ সুপার মার্কেটের হোসনেয়ারা এন্টারপ্রাইজের কর্মচারী ফারহান আক্তার জানান, এই মার্কেটে মাস্ক, গ্লাভস ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। তাপমাত্রাও মাপা হচ্ছে। মার্কেটে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বেচাকেনা চলছে। বাস্তবতা হচ্ছে, ক্রেতারাই শারীরিক দূরত্ব মানতে চাইছেন না। প্রিভেন্টিভ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধের যে কয়েকটি ধাপ রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম ধাপ হলো শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা। সরকার করোনার প্রার্দুভাব ঠেকাতে সাধারণ ছুটি বাড়াচ্ছে। অন্যদিকে, গার্মেন্ট-মার্কেট খুলে দিচ্ছে। এ বিষয়গুলো নিয়ে মানুষ কনফিউজড। আইন প্রয়োগ ছাড়া মানুষকে ঠেকিয়ে রাখা যাবে না।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর