শুক্রবার, ১০ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

ব্যবসায়ীরা এখনো উদ্বেগ উৎকণ্ঠায়

-আমিনুল হক শামীম

সৈয়দ নোমান, ময়মনসিংহ

ব্যবসায়ীরা এখনো উদ্বেগ উৎকণ্ঠায়

ময়মনসিংহ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আমিনুল হক শামীম বলেছেন, তিন মাসের বেশি সময় যাবতীয় আর্থিক কর্মকান্ডে বন্ধ থাকায় অর্থনীতির ওপর মোটা দাগে প্রভাব পড়ছে। জীবনযাপন, কল-কারখানা, বন্ধ ব্যবসা-বাণিজ্য, দোকানপাট বিভিন্ন আর্থিক ও শিল্প ক্ষেত্রের আর্থিক পরিসংখ্যানকে ঠেলে দিয়েছে বিপজ্জনক জায়গায়। নামকাওয়াস্তে টিকে আছে ব্যবসা-বাণিজ্য। প্রতিদিনই বেকার হচ্ছে শ্রমিক। বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, লকডাউন শিথিল হওয়ার পর কিছুটা আশা ফিরলেও উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় এখনো ব্যবসায়ীরা। নানামুখী প্রচেষ্টার মাধ্যমে অর্থনীতির ইঞ্জিনে গতি ফেরানো জরুরি।

চেম্বার সভাপতি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, শ্রমিকরা ঘরে ফেরায় আগামী দিনে টান পড়বে দক্ষ কর্মীর জোগানে। অনেক কারখানাও আগের মতো সচল হয়নি। উৎপাদন হলেও কাজ পাচ্ছেন ৩০-৫০ শতাংশ। ফলে নিম্ন আয়ের অনেক শ্রমিকই পাড়া-মহল্লায় ভাসমান দোকান নিয়ে কোনোমতে জীবিকা নির্বাহ করছেন। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের তালিকা তৈরি হচ্ছে জানিয়ে বিশিষ্ট এই ব্যবসায়ী জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে শিল্প ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আর্থিকভাবে অত্যন্ত নাজুক অবস্থায় রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি ইত্যাদি ইউটিলিটি বিল সারচার্জবিহীনভাবে পরিশোধের জন্য আরও সময় দেওয়া উচিত। সব ধরনের শর্টটার্ম লোনের ইনস্টলমেন্টগুলো রিশিডিউল করা, স্বল্প মেয়াদি মূলধনের সুদ আরও ৯০ দিনের জন্য মওকুফ করলে লোকসানের পরিমাণটা কিছুটা হলেও কমে যাবে। এ ছাড়া বর্তমানে কোনো ক্যাশ ফ্লো না থাকলেও ব্যাংক ঋণের সুদ চলমান রয়েছে যা বিবেচনা করা উচিত বলে মনে করেন চেম্বার সভাপতি আমিনুল হক শামীম। তিনি আরও বলেন, সর্বোপরি সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমাদের করোনাকালের এই আর্থিক সংকট মোকাবিলা করতে হবে। সরকার যেই প্যাকেজ ঘোষণা করেছে তার পাশাপাশি ট্যাক্স হার কমিয়ে আনা উচিত। ট্যাক্স রেট কমালেও রেভিনিউ কখনই কমে না। আগামী দুই বছরে অবশ্যই এই সুযোগ তৈরি করতে হবে। পাশাপাশি ভ্যাট কমানোরও প্রয়োজন রয়েছে। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা খাতকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। যা আমাদের অর্থনীতিকে শক্তিশালী ভিতের ওপর দাঁড়াতে সাহায্য করবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর