শুক্রবার, ১০ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

দক্ষিণ আফ্রিকায় আগাম কবর যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্ত বাড়ছেই

নিজস্ব প্রতিবেদক

দক্ষিণ আফ্রিকায় আগাম কবর যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্ত বাড়ছেই

যুক্তরাষ্ট্রে ৩০ লাখ ছাড়িয়েছে মহামারী করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা। যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ১ লাখ ৩৪ হাজারের বেশি মানুষ। সংক্রমণ ও মৃত্যুতে যুক্তরাষ্ট্র এখন শীর্ষে অবস্থান করছে। এর পরেই শীর্ষ পাঁচ দেশের তালিকায় আছে ব্রাজিল, ভারত, রাশিয়া ও পেরু। যুক্তরাষ্ট্রে দ্বিতীয় দফায় ছড়াচ্ছে করোনাভাইরাস।

গতকাল যুক্তরাষ্ট্রে এক দিনে প্রায় ৬০ হাজার আক্রান্ত হয়েছেন করোনাভাইরাসে। তারপরও দেশটির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে তোড়জোড় শুরু করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। করোনা মহামারী সত্ত্বেও দেশ ভালো অবস্থানে আছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। এদিকে করোনা সংক্রমণ রোধে বেশি কড়াকড়ি করা উচিত নয় বলেও জানিয়েছেন হোয়াইট হাউস করোনাভাইরাস ট্রাস্কফোর্সের নেতা ও দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স। অন্যদিকে, করোনা ভয়াবহ হয়ে উঠছে দক্ষিণ আফ্রিকায়। আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যায় আফ্রিকা মহাদেশে শীর্ষে আছে দেশটি। পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কায় আগাম কবর খুঁড়ে রেখে প্রস্তুতি নিচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা।  দেশটির গাওতেং প্রদেশেই এসব কবর খোঁড়া হচ্ছে। দেশটিতে করোনার সবচেয়ে বড় হটস্পট  এই প্রদেশ। গাওতেং কর্তৃপক্ষ নিজ দায়িত্বে এসব কবর খুঁড়ছে। অন্তত ১৫ লাখ কবর খোঁড়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। প্রাদেশিক কাউন্সিলের সদস্য ডা. বান্দিলে মাসুকু জানান, এটি অস্বস্তিকর একটি সিদ্ধান্ত। এখন জনসাধারণের দায়িত্ব, এসব কবরের যাতে প্রয়োজন না হয়। রাজধানী প্রেতোরিয়া এবং দেশটির সবচেয়ে বড় শহর জোহান্সবার্গ গাওতেং প্রদেশেরই অন্তর্ভুক্ত। জোহান্সবার্গ এই অঞ্চলের রাজধানী। গাওতেংয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৭১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে, যা দেশের মোট আক্রান্তের ৩৩ শতাংশ। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ দেখা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়ায়। এর জেরে দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মেলবোর্নকে ছয় সপ্তাহের জন্য লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে। বুধবার মধ্যরাত থেকেই কার্যকর হয়েছে নতুন বিধিনিষেধ। করোনার এই ঢেউয়ের অর্থ হলো, অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে এ বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন আর কোনোভাবেই হয়তো সম্ভব নয়।

 কারণ, এই মেলবোর্নেই বিশ্বকাপের অধিকাংশ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা; কিন্তু নতুন করে লকডাউন ঘোষণা এবং সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে সেখানে বিশ্বকাপের ম্যাচ আয়োজন করা স্বপ্নেও কল্পনা সম্ভব নয়। দীর্ঘ ১০০ দিনের লকডাউন থেকে মুক্তি পেয়েছে কুয়েতে অভিবাসী অধ্যুষিত এলাকা মাহবুল্লাহ ও জেলিব আল সুয়েখ। গতকাল ভোর ৫টায় ওই দুই এলাকা লকডাউনমুক্ত ঘোষণা করা হয়। লকডাউনমুক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মাহবুল্লাহ ও জেলিবের বাসিন্দারা কর্মস্থলে এবং শপিং মলগুলোতে যেতে পারছেন। এমনকি অন্য অঞ্চলেও যেতে পারবেন তারা। লকডাউনমুক্ত হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর