শুক্রবার, ১০ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

নাগরিক অধিকারে বিপর্যয় ঘটিয়েছে ফেসবুক

নিরীক্ষা প্রতিবেদনে তথ্য

প্রতিদিন ডেস্ক

নয় মাস ধরে ফেসবুক যেসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেগুলো নাগরিক অধিকারের ক্ষেত্রে গুরুতর বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে। বৈশ্বিক পর্যায়ে ফেসবুকের প্রভাব পর্যালোচনা করতে তাদেরই অর্থায়নে পরিচালিত দুই বছরমেয়াদি এক নিরীক্ষা (অডিট) প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

২০১৯ সালের জুন মাস থেকে ফেসবুকের নেওয়া সিদ্ধান্তগুলোর বিষয়ে মূল প্রতিবেদনে প্রাথমিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সেখানে অবশ্য ফেসবুক টুল ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রে বাসস্থান ও কর্মসংস্থান-বৈষম্য দূর করতে বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে নেওয়া পদক্ষেপের প্রশংসা করা হয়েছে। তবে, নিরীক্ষকেরা বলছেন, ফেসবুকের নেওয়া অনেক পদক্ষেপেই নাগরিক অধিকারের ক্ষেত্রে বিপর্যয় ঘটিয়েছে। এটি শুরু হয়েছিল গত বছরের সেপ্টেম্বরে। ওই সময় ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জুকারবার্গ বলেন, ‘ফেসবুকের সর্বাধিক কাক্সিক্ষত মান হিসেবে মুক্ত মত প্রকাশের ক্ষেত্রে একটি নির্বাচনী দৃষ্টিভঙ্গি রাখা হবে।’ নিরীক্ষকেরা ফেসবুকে যেসব পরিবর্তন আনার পরামর্শ দিয়েছেন, তার বেশ কিছু বাস্তবায়ন করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে ফেসবুক। এর মধ্যে নাগরিক অধিকারকর্মী নিয়োগ, প্রতারণধর্মী বিজ্ঞাপন বন্ধ, কৃষ্ণাঙ্গদের ক্ষুদ্র ব্যবসায় বিনিয়োগ প্রভৃতি বিষয় রয়েছে। শেরিল স্যান্ডবার্গ অবশ্য বলেছেন, সব পরামর্শ তাদের পক্ষে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান মুসলিম অ্যাডভোকেটসের নির্বাহী পরিচালক ফারহানা খেরা বলেন, ‘নিরীক্ষায় দেখা গেছে, নানা উপায়ে মুসলমান ও অন্য ঝুঁকিপূর্ণ সম্প্রদায়ের নির্লজ্জভাবে ক্ষতি করেছে ফেসবুক। তার চেয়েও নির্লজ্জের বিষয় হচ্ছে, এই যন্ত্রণা ও সহিংসতা বন্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে অস্বীকার করেছে কোম্পানিটি।’ ঘৃণ্য বক্তব্যের বিরুদ্ধে ফেসবুক কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় এ প্লাটফর্ম থেকে বড় বড় বিজ্ঞাপনদাতা সরে যাচ্ছেন। ফেসবুক বর্জনের ডাক দিয়ে চালু করা আন্দোলন ‘স্টপহেটফরপ্রফিট’ জোরদার হচ্ছে। ফেসবুক থেকে বিজ্ঞাপন বর্জনের তালিকায় নাম লিখিয়েছে ইউনিলিভার, কোকা-কোলার মতো ব্র্যান্ড।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর