শুক্রবার, ১০ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা
কৃষি

পঞ্চগড়ে চাষ হচ্ছে ড্রাগন

সরকার হায়দার, পঞ্চগড়

পঞ্চগড়ে চাষ হচ্ছে ড্রাগন

পঞ্চগড়ে কমলা ও চা চাষের সাফল্যের পর নতুন মাত্রায় যুক্ত হয়েছে আরও একটি পুষ্টি ও ঔষধি গুণসমৃদ্ধ ফলের চাষাবাদ। বিদেশি ফল ড্রাগন এখন পঞ্চগড়ের বিভিন্ন এলাকায় উৎপাদিত হচ্ছে। অনেকে শখের বসে বাড়ির আশপাশে সামান্য জমিতে ড্রাগন ফল চাষ করে সাফল্য পেয়ে এখন বাণিজ্যিকভাবে চাষ শুরু করেছেন। করোনা সংকটকালে চলতি মৌসুমে ড্রাগনের বাগানগুলোতে প্রচুর ফল হয়েছে। জেলায় অপরিচিত এ ফলের চাষ শুরু হওয়ায় অনেকে আগ্রহী হয়ে দেখতে যাচ্ছেন ড্রাগন ফলের বাগান। পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার নয়াদীঘি এলাকার শৌখিন কৃষক মো. রাশেদ প্রধান। ৫৪ শতক জমির ওপর ২০১৮ সালে পরীক্ষামূলক ড্রাগন চাষ শুরু করেন তিনি। সুস্বাদু, পুষ্টিকর ও ঔষধি গুণ থাকায় এ ফলের দেশে চাহিদা অনেক বেড়ে যাওয়ায় শুরুতেই সাফল্য পেয়ে যান। তার এ সাফল্যে জেলার শৌখিন কৃষকরা এখন পুরনো কৃষি উৎপাদন বাদ দিয়ে ড্রাগন চাষে মনোযোগ দিচ্ছেন।

 গতানুগতিক কৃষিব্যবস্থা থেকে ড্রাগন চাষে লাভ বেশি হওয়ায় তারা ড্রাগন চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। কৃষি বিভাগ বলছে, পঞ্চগড় জেলার মাটি ড্রাগন চাষের উপযোগী।

 ধান এবং অন্যান্য আবাদের চেয়ে ড্রাগন ফল চাষে খরচ কম এবং উৎপাদন বেশি। এক একর জমিতে ড্রাগন চাষ করলে ৬ থেকে ৭ লাখ টাকা আয় হয়। অন্য আবাদে এমন লাভ হয় না। কৃষক রাসেদ প্রধানের পরীক্ষামূলক ড্রাগন চাষ জেলার অন্য কৃষকদের প্রেরণা হিসেবে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। তিনি জানান একান্তই শখের বসে বাগান করেছিলাম। তারপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। এখন দেশের নানা প্রান্ত থেকে ড্রাগন ফলের ব্যবসায়ীরা এসে ফল নিয়ে যায়। তার এ সাফল্যে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন আরও নতুন নতুন কৃষক। মারেয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শামিম আহমেদ জানান, শখের বসে আমিও ড্রাগন চাষ করেছিলাম। এ ফলের বাণিজ্যিক লাভ অনেক বেশি। তাই বর্তমানে বাণিজ্যিক আকারে চাষাবাদ শুরু করেছি। তবে উদ্যোক্তারা জানান, গত মৌসুমে লাভ হলেও এ মৌসুমে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে ফল বিক্রি নিয়ে শঙ্কায় আছেন তারা। পঞ্চগড় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. আবদুল মতিন জানান, আয়  বৃদ্ধি ও পুষ্টির চাহিদা পূরণের জন্য এ জেলার চাষিদের ড্রাগন চাষে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। মাঠপর্যায়ে তদারকি এবং এর চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে কৃষকদের নিয়মিত অবহিত করা হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর