শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

ক্যাসিনো মাফিয়া এনু-রূপনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ

সেলিম প্রধানের বিরুদ্ধে করা মানি লন্ডারিং মামলার চার্জশিট জমা

নিজস্ব প্রতিবেদক

ক্যাসিনোকান্ডে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে থাকা দুই ভাই এনামুল হক এনু ও রুপন ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে অর্থ পাচার মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি নিতে আগামী ৪ নভেম্বর দিন নির্ধারণ করেছে আদালত।

গতকাল ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ঠিক করার এ আদেশ দেন। এরমধ্যে এনু রাজধানীর গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও রুপন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ক্যাসিনোকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়ার পর তাদের বহিষ্কার করা হয়। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) গত ২২ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে। চার্জশিটে ১ কোটি ৯৯ লাখ ৯০ হাজার টাকার মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, এনামুলের আয়কর নথি, বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ ও গোপন সূত্রে পাওয়া তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, তার বৈধ আয়ের কোনো উৎস নেই। তিনি ক্যাসিনো ব্যবসাসহ অবৈধ উপায়ে আয় করা অর্থ দিয়ে প্রচুর সম্পদ অর্জন করেছেন। এসব তার আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। তিনি অবৈধ আয়ের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন বলে দুদকের কাছে তথ্য আছে। এনামুলের ভাই রুপন ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়, রুপন ভূঁইয়া অসৎ উদ্দেশ্যে বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে নামে-বেনামে ১৪ কোটি ১২ লাখ ৯৫ হাজার ৮৮২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। গত ১৩ জানুয়ারি ভোরে ক্যাসিনোকান্ডে জড়িত এনু-রুপনকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২২টি জমির দলিল, পাঁচটি গাড়ির কাগজপত্র ও ৯১টি ব্যাংক হিসাবে ১৯ কোটি টাকা থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়। এ ছাড়া তাদের কাছ থেকে নগদ ৪০ লাখ টাকা ও ১২টি মোবাইল জব্দ করা হয়।

সেলিম প্রধানের বিরুদ্ধে করা মানি লন্ডারিং মামলার চার্জশিট জমা : অনলাইন ক্যাসিনোর হোতা সেলিম প্রধানের বিরুদ্ধে করা মানি লন্ডারিং মামলার চার্জশিট দিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গত ২০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম খান আদালতে তা দাখিল করেন। গতকাল এ চার্জশিট আদালত গ্রহণ করে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। সিআইডি সূত্র জানায়, গত বছরের ৩ অক্টোবর রাজধানীর গুলশান থানায় করা মামলায় সেলিম প্রধানসহ ছয়জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। অন্যরা হলেন- আক্তারুজ্জামান, রোমান, আরিফুর রহমান ওরফে সীমান্ত আরিফ, চৌধুরী গোলাম মাওয়ালা ওরফে শাওন এবং ইয়ংশাক লি। এদের ৮৩টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়েছে। এরা অনলাইন ক্যাসিনোর মাধ্যমে অপরাধলব্ধ আয় করেছেন মোট ১৩ কোটি ২৮ লাখ ৮৯ হাজার ১৪৬ টাকা। গ্রেফতার অভিযানে জব্দ ২৮ লাখ ৯৫ হাজার ৫০০ টাকা এবং ৭০ লাখ টাকার বিভিন্ন দেশের মুদ্রা জব্দ করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করা হয়েছে। মামলার তদন্তে সেলিম প্রধানের ৬ কোটি টাকার দুটি চেক জব্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া ৯টি বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও থাইল্যান্ডে একটি বাগান বাড়ির সন্ধান পাওয়া যায়।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর