বৃহস্পতিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

করোনায় মৃত্যু বাড়ছেই

১০ জেলায় অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু শনিবার

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনায় মৃত্যু বাড়ছেই

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস সংক্রমণে আরও ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ১৯৮ জনের দেহে। এ নিয়ে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৭১৩ জনে ও  মোট রোগী শনাক্ত হয়েছে ৪ লাখ ৬৯ হাজার ৪২৩ জন।

গত একদিনে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২ হাজার ৫৬২ জন। এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ৮৫ হাজার ৭৮৬ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮২ দশমিক ১৮ শতাংশ ও মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দেশে করোনা সংক্রমণের সবশেষ তথ্য তুলে ধরা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫ হাজার ৯৭২টি নমুনা পরীক্ষায় ১৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ মানুষের দেহে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। গত একদিনে মারা যাওয়া ৩৮ জনের মধ্যে ২৫ জন ছিলেন পুরুষ ও ১৩ জন নারী। হাসপাতালে ৩৭ জনের ও বাড়িতে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। বয়স বিবেচনায় মৃতদের মধ্যে ২৫ জনই ছিলেন ষাটোর্ধ্ব। এছাড়া ৪ জন পঞ্চাশোর্ধ্ব, ৪ জন চল্লিশোর্ধ্ব, ৩ জন ত্রিশোর্ধ্ব, ১ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ও ১ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম। মৃতদের মধ্যে ৩০ জন ঢাকা, ৪ জন চট্টগ্রাম, ২ জন রংপুর, ১ জন রাজশাহী ও ১ জন ছিলেন খুলনা বিভাগের বাসিন্দা।

গতকাল ঢাকা মহানগরীর ৩১৬টি আইসিইউ শয্যার মধ্যে ২১৯টিতে রোগী ভর্তি ছিল। চট্টগ্রাম মহানগরীর ৩৯টি আইসিইউ’র মধ্যে ১৬টিতে ও দেশের অন্যান্য স্থানের ২১৯টি আইসিইউ’র মধ্যে ৮৬টিতে রোগী ভর্তি ছিল। বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয় ও ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

১০ জেলায় করোনার অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু হচ্ছে শনিবার  : আগামী শনিবার থেকে দেশের ১০ জেলায় নতুন করোনাভাইরাস শনাক্তের অ্যান্টিজেন পরীক্ষা শুরু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।

তিনি গণমাধ্যমকে বলেছেন- নীতিমালা অনুমোদনের আড়াই মাস পর প্রাথমিকভাবে গাইবান্ধা, মুন্সীগঞ্জ, পঞ্চগড়, মাদারীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, যশোর, মেহেরপুর, সিলেট, জয়পুরহাট ও পটুয়াখালী জেলায় অ্যান্টিজেট টেস্ট কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। গতকাল অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা আরও বলেন, অ্যান্টিজেন পরীক্ষার কার্যক্রম চালাতে এরই মধ্যে চিকিৎসক, মেডিকেল টেকনোলজিস্টসহ ৩০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

শনিবার থেকে এই কার্যক্রম শুরু করতে আমরা নির্দেশনা দিয়েছি। যাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছি, তারা কাল ফিরে যাবেন যার যার জেলায় এবং প্রস্তুতি নেবেন। যেসব জেলায় আরটি-পিসিআর পরীক্ষার ব্যবস্থা নেই, প্রাথমিকভাবে সেসব জেলাকে অ্যান্টিজেট টেস্ট শুরুর জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে অন্যান্য জেলায় এই কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা হবে। এই দশটি জেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে আমরা পরবর্তীতে আরও দশটি জেলায় টেস্ট শুরু করব। এভাবে ধাপে ধাপে সারা দেশে অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু হবে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, যাদের মধ্যে পাঁচ থেকে সাতদিন ধরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ (জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট, দুর্বলতা, স্বাদ-গন্ধ নেওয়ার ক্ষমতা লোপ পাওয়া) আছে, প্রাথমিকভাবে তাদের অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করা হবে। আমরা আগেই নীতিমালা করেছি। যদি কারও রিপোর্ট পজিটিভ আসে, আমরা জানব, তার সংক্রমণ হয়েছে। আর নেগেটিভ এলে তখন তার আরটি-পিসিআর টেস্ট করা হবে। কারও দেহে ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছে কি না, তা দ্রুততম সময়ে জানার পদ্ধতি হলো অ্যান্টিজেন টেস্ট। এ জন্য নাক বা মুখ গহ্বর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর