পটুয়াখালীর বাউফলে সালিশের ‘সুযোগ’ নিয়ে কিশোরীকে বিয়ে করলেন এক বিবাহিত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমানুষের মধ্যে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কনকদিয়া বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী নাজনীন আক্তারের (নছিমন) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল নারায়ণপাশা গ্রামের রমজান নামের এক যুবকের। কিন্তু এ সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি নাজনীনের বাবা নজরুল ইসলাম। তিনি বিষয়টি কনকদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিন হাওলাদারকে জানান। শাহিন হাওলাদার শুক্রবার ইউনিয়ন পরিষদে সালিশ বৈঠক ডাকেন। ওই বৈঠকে রমজান ও নাজনীনের দুই পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন। সালিশ বৈঠকে নাজনীনকে দেখে পছন্দ হওয়ায় তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার। মেয়ের বাবা এ বিয়েতে রাজি হলে বাদ জুমা চেয়ারম্যানের আয়লা বাজারের বাসায় কাজী ডেকে ৫ লাখ টাকা কাবিনে নাজনীনকে বিয়ে করেন তিনি। এটি তার দ্বিতীয় বিয়ে। তার দুই সন্তান রয়েছে। এদিকে প্রেমিকাকে না পেয়ে ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায় প্রেমিক রমজান মিয়া। পরে চৌকিদার মো. ফিরোজ তাকে উদ্ধার করে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার বলেন, ‘কোনো সালিশ বৈঠক হয়নি, হয়েছে বিয়ের অনুষ্ঠান। মেয়েটিকে দেখে আমার পছন্দ হওয়ায় তাকে বিয়ে করেছি। আমার বিয়ের প্রয়োজন ছিল, তাই করেছি।’
মা-ভাই এমনকি প্রথম স্ত্রীর অনুমতি নিয়েই বিয়ে করেছেন দাবি করে শাহিন চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘সামর্থ্য থাকলে একজন পুরুষ মানুষ পাঁচটি বিয়ে করতে পারেন।’ বাল্যবিয়ে করেছেন কি না এমন প্রশ্নে চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার বলেন, আপনাদের ভাবির জন্ম তারিখ ২০০৩ সালের ২১ এপ্রিল। তিনি নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। এরপর তিন বছর হয়েছে পড়াশোনা বাদ দিয়েছেন। বিয়ে করে আমি লজ্জিত নই, বরং আনন্দিত। তবে নাজনীন আক্তার নছিমনের বয়স ১৫-১৬ বছর হবে বলে জানান স্থানীয়রা।