রবিবার, ৪ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

করোনা টেস্টে ভোগান্তি, বাড়ছে মৃত্যু

উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু বাড়ছে সীমান্তের জেলাগুলোয়

নিজস্ব প্রতিবেদক

সীমান্তের জেলাগুলোতে করোনা সংক্রমণে বাড়ছে মৃত্যু। প্রায় প্রতিদিন দেশে ১৩০ জনের বেশি মানুষ মারা যাচ্ছেন। এর মধ্যে খুলনা, রাজশাহী, রংপুর বিভাগে মৃত্যুহার শঙ্কাজনক। কিন্তু এসব বিভাগের অধিকাংশ জেলায় করোনা শনাক্তে নেই আরটি-পিসিআর টেস্ট সুবিধা। কিছু জায়গায় জিন এক্সপার্ট ও র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন্ট টেস্টে রোগী শনাক্ত হলেও তা অপ্রতুল। ফলে টেস্ট করাতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে রোগীকে, উপসর্গ নিয়ে বাড়ছে মৃত্যু।

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী জানান, গতকাল রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন ১৩ জন। এর মধ্যে উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আটজন, বাকি পাঁচজনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা পরীক্ষা ল্যাবে প্রতিদিনই বাড়ছে নমুনা জট। দুটি পিসিআর মেশিনে প্রতিদিন পাঁচ শিফটে কাজ করেও নমুনা জট কমানো সম্ভব হচ্ছে না। তবে গত ২০ দিনে জট কিছুটা কমেছে। ১০ জুন ল্যাব দুটিতে ১ হাজার ২১টি নমুনা জমা পড়ে ছিল। সেই জট কমে এসেছে ৪০০-তে। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নমুনা পরীক্ষা করতে না পারায় জটে পড়া নমুনাগুলো নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ল্যাবটিতে মাত্র তিনজন টেকনোলজিস্ট দিয়ে প্রতিদিন দুটি মেশিনে ৪-৫ শিফটে নমুনা পরীক্ষা করতে হচ্ছে। প্রতিদিন গড়ে ৩৭৬ থেকে ৪৭০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে (প্রতি শিফটে ৯৪)। এতে টেকনোলজিস্টদের ওপর বাড়তি চাপ পড়ছে। রামেক ল্যাব সূত্র জানায়, প্রতিদিন গড়ে ৭০০-৮০০ নমুনা এসে জমা পড়ছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে। রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলার মধ্যে নাটোর, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ এবং রাজশাহীর নমুনা আসছে নিয়মিত। রাজশাহী মেডিকেল কলেজের (রামেক) পিসিআর ল্যাব এবং ভাইরোলজি বিভাগের প্রধান ডা. সাবেরা গুলনাহার জানান, রামেকের দুটি পিসিআর মেশিনে পাঁচ শিফটে কাজ চলছে। প্রতি শিফটে ৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব। তিনজন টেকনোলজিস্ট, দুজন চিকিৎসক ও একজন মলিকুলার বায়োলজিস্ট এই পাঁচজন জনবল দিয়ে চলছে ল্যাব। রাজশাহী অঞ্চলে করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় নমুনা আসছে বেশি। আর তাই ল্যাবে নমুনা জট দেখা দিয়েছে। দিন-রাত কাজ করে জট কমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এদিকে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে ও সিভিল সার্জনের সহযোগিতায় নগরীতে চলছে র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট। প্রতিদিন ৬টি স্পটে এটি করা হচ্ছে। বিনামূল্যে পরীক্ষার সুযোগ পাচ্ছেন মানুষ। সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন জানান, সামাজিক সংক্রমণ কতটা ছড়িয়েছে, তা জানতে এমন উদ্যোগ। যারা পজিটিভ হচ্ছেন, তাদের বাড়িতে আইসোলেশনে থাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যাদের উপসর্গ আছে, কিন্তু নেগেটিভ ফল হচ্ছে-তাদের পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া জানান, বগুড়ায় করোনা টেস্টের জন্য একটি সরকারি ও একটি বেসরকারি আরটি-পিসিআর ল্যাব রয়েছে। অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করা হলেও আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে না। মানুষের মাঝে উপসর্গ বেড়ে যাওয়ায় নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা বেড়ে যাওয়ায় ফলাফল পেতে সময় লাগছে ৫-৭ দিন। বগুড়া জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন জানান, আরটি-পিসিআর ল্যাবে বগুড়ার পাশাপাশি জয়পুরহাট জেলার করোনাভাইরাসের পরীক্ষাও করা হয়। জেলায় সরকারিভাবে করোনা টেস্টের জন্য একটি আরটি-পিসিআর ল্যাব চালু রয়েছে। আরও একটি ল্যাব চালুর অপেক্ষায় রয়েছে। এ ছাড়া প্রয়োজন সাপেক্ষে অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করা হচ্ছে। জিন এক্সপার্ট মেশিনেও করোনার পরীক্ষা চালু রয়েছে। আর বেসরকারিভাবে টিএমএসএস মেডিকেলেও করোনা টেস্ট হচ্ছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে আরটি-পিসিআর ল্যাব না থাকায় নমুনা সংগ্রহ করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু সেখানে নমুনা পরীক্ষায় ধীরগতির কারণে জেলার করোনা রোগী শনাক্তে চার দিন থেকে এক সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হচ্ছে। করোনা শনাক্ত রিপোর্ট আসার আগে দুজন মারা গেছেন। করোনা রিপোর্ট আসতে দেরি হওয়ায় করোনা আক্রান্তদের সময়মতো চিকিৎসা সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান জেলা বিএমএর সাধারণ সম্পাদক মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. গোলাম রাব্বানী। তিনি বলেন, আক্রান্তরা করোনা উপসর্গ নিয়েই বাইরে চলাফেরা করছে। এতে সুস্থ মানুষও তাদের দ্বারা সংক্রমিত হচ্ছে। এদিকে জেলা হাসপাতালসহ উপজেলা হাসপাতালগুলোতে র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করার ব্যবস্থা থাকলেও সদর ও গোমস্তাপুরে ১০০ টাকা করে আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। তবে টাকা গ্রহণের জন্য কোনো রশিদ দেওয়া হচ্ছে না। এ প্রসঙ্গে সিভিল সার্জন ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী বলেন, তিনিও অর্থ আদায়ের অভিযোগ শুনেছেন। তবে অর্থ আদায় বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান তিনি। জেলা হাসপাতালে আরটি-পিসিআর ল্যাব স্থাপন প্রসঙ্গে জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মুনিমুল হক বলেন, জেলা হাসপাতালে আরটি-পিসিআর ল্যাব এবং আইসিইউ ও সিসিইউ স্থাপনের বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ ঊর্ধ্বতন মহলে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

রাজবাড়ী প্রতিনিধি জানান, জেলায় করোনা শনাক্তে আরটি-পিসিআর টেস্টের ব্যবস্থা নেই। অ্যান্টিজেন পরীক্ষা চালু করা হলেও কারও নমুনা পজিটিভ হলে সে নমুনা আবার ঢাকায় পাঠানো হয়। সেখান থেকে ফলাফল আসতে চার দিন পার হয়ে যায়। গত দুই দিনে রাজবাড়ীর বিভিন্ন উপজেলা থেকে ২৮২টি নমুনা পরীক্ষা করে ঢাকায় আইসিডিডিআরবিতে পাঠানো হয়। সেখান থেকে ১১৯ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। রাজবাড়ীর সিভিল সার্জন ডা. ইব্রাহিম টিটন বলেন, র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করার জন্য কিটের কোনো সংকট নেই।

নিজস্ব প্রতিবেদক বরিশাল জানান, বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা পরীক্ষায় হয়রানি-ভোগান্তি চরমে উঠেছে। সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত করোনার নমুনা সংগ্রহ করার কথা থাকলেও বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত নমুনা সংগ্রহ করছে তারা। ১২টার পর আগতদের তারা ফিরিয়ে দিচ্ছে। করোনা পরীক্ষা করাতে গিয়ে এই কাউন্টার সেই কাউন্টারে ঘুরতে ঘুরতে ক্লান্ত হয়ে পড়ছে রোগীরা। করোনা ওয়ার্ডে কর্মরত মেডিকেল টেকনোলজিস্ট মো. হোসেন জানান, প্রতিদিন গড়ে ১৬০ থেকে ১৭০টি করোনা নমুনা সংগ্রহ করছেন তারা। এর মধ্যে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ৫-৬টি নমুনা র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা হয়। শেরেবাংলা মেডিকেলের উপ-পরিচালক ডা. জসিম উদ্দিন হাওলাদার জানান, করোনা পরীক্ষায় বাড়তি টাকা নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম জানান, চট্টগ্রামে ল্যাবে প্রয়োজনের তুলনায় মেশিন ও প্রশিক্ষিত জনবল সংকট থেকে গেছে। বর্তমানে বিআইটিআইডি ল্যাবে দুটি, চমেক হাসপাতালের ল্যাবে দুটি, সিভাসুতে দুটি ও চবিতে একটি মেশিনে করোনার নমুনা টেস্ট হচ্ছে। চারটি ল্যাবে নমুনা থাকা সাপেক্ষে দৈনিক ১২০০ থেকে ১৫০০ নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। বিআইটিআইডিটির সহযোগী অধ্যাপক ও ল্যাব ইনচার্জ অধ্যাপক ডা. শাকিল আহমেদ বলেন, দৈনিক ৫০০ থেকে ৫৫০টি নমুনা টেস্ট করা হচ্ছে। তবে এখনো পর্যন্ত জনবল ও যানবাহন সংকটে আছি। বিষয়টি নিয়ে প্রতিদিনই দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।

চবির জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. লায়লা খালেদা আঁখি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতজন শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং, বায়োকেমিস্ট্রি, মাইক্রোবায়োলজি ও বোটানিক্যাল বিভাগের ১২ শিক্ষার্থী ল্যাবে কাজ করেন। ল্যাবে কোনো নমুনা জমা থাকে না। সিভাসুর সহযোগী অধ্যাপক ড. জুনায়েদ সিদ্দিকী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী দিয়ে ল্যাব পরিচালনা করা হচ্ছে। এ ল্যাবে দৈনিক ২৫০ থেকে ৩০০টি নমুনা টেস্ট করা হয়।

গাজীপুর প্রতিনিধি জানান, শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবের বায়োসেফটি কেবিনেটের ল্যামিনার ফ্লু মেশিন বিকল হওয়ায় করোনাভাইরাস নমুনা পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে করোনাভাইরাসের নমুনা ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে। মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও ল্যাবের ইনচার্জ ডা. এস কে সাইফুল আলম জানান, কয়েক দিন ধরেই ল্যাবের বায়োসেফটি কেবিনেটের ল্যামিনার ফ্লু মেশিনে সমস্যা দেখা দিচ্ছিল। গত ২৮ জুন সকাল থেকে কভিড পিসিআর ল্যাবের বায়োসেফটি কেবিনেটে ল্যামিনার ফ্লু মেশিন বিকল হয়ে পড়ে। ওই দিন থেকে হাসপাতালে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে না। গাজীপুরে প্রতিদিন প্রায় ৪০০ নমুনা সংগ্রহ করা হয়। শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. আবদুল কাদের জানান, মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে টেকনিশিয়ান স্বল্পতা রয়েছে। এটার জনবল বাড়ানো দরকার। ল্যাবে বিভিন্ন শিফটে ছয়জন চিকিৎসক, ৭ জন টেকনিশিয়ান এবং ৭ জন কর্মচারী কাজ করেন।

নওগাঁ প্রতিনিধি জানান, নওগাঁ সদর আধুনিক হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার জন্য আরটি-পিসিআর ল্যাব অনুমোদনের এক মাস অতিবাহিত হলেও তা আলোর মুখ দেখেনি। তবে অ্যান্টিজেন পরীক্ষার ব্যবস্থা হয়েছে।

নওগাঁ সরকারি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. আবদুল বারী জানান, আরটি-পিসিআরের ৩টি মেশিন আসার কথা রয়েছে। এগুলো এলে দেড় মাসের মধ্যে আরটি-পিসিআর চালু করা সম্ভব হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর জানান, যশোরে করোনা পরীক্ষায় অ্যান্টিজেন ও আরটি-পিসিআর দুই পদ্ধতিই চালু আছে। যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে অ্যান্টিজেনের মাধ্যমে রোগীর নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পাশাপাশি জেলার সাত উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতেও অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করা হচ্ছে। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ল্যাবে আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করা হয়। এই ল্যাবে শুধু যশোর নয়, ঝিনাইদহ, মাগুরা ও নড়াইলের রোগীদের নমুনাও পরীক্ষা করা হয়। এর পাশাপাশি যশোর বক্ষব্যাধি হাসপাতাল ও শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সম্প্রতি জিন এক্সপার্ট প্রযুক্তি স্থাপিত হয়েছে এবং এখানেও করোনা টেস্ট করা হয়।

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি জানান, ঝিনাইদহে করোনা রোগী শনাক্তের জন্য আরটি-পিসিআর ও আইসিইউ ল্যাব নেই। রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করে পার্শ্ববর্তী জেলা যশোর ও কুষ্টিয়ায় পাঠাতে হয়। সেই নমুনার রিপোর্ট আসতে দুই থেকে তিন দিন সময় লাগে। জেলায় প্রতিদিন করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। শুধু অ্যান্টিজেন্ট টেস্টের ব্যবস্থা আছে। প্রতিদিন ১৫-১৬টি টেস্ট হয় বলে ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন সেলিনা পারভীন নিশ্চিত করেছেন।

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি জানান, কুড়িগ্রামে করোনা রোগী শনাক্তে নেই আরটি-পিসিআর টেস্টের ব্যবস্থা। জেনারেল হাসপাতাল ও সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ উপজেলাগুলোতে র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন্ট টেস্ট নমুনা সংগ্রহ চলছে। নাটোর প্রতিনিধি জানান, নাটোরে পিসিআর ল্যাব না থাকায় বিলম্ব হচ্ছে করোনার নমুনার পরীক্ষা, ছড়াচ্ছে করোনার সংক্রমণ। একটি পিসিআর ল্যাবের অভাবে নাটোরে করোনা পরীক্ষার জন্য সংগৃহীত নমুনার ফলাফল পেতে দেরি হচ্ছে। নাটোরের সিভিল সার্জন ডা. কাজী মিজানুর রহমান জানান, আমরা নিয়মিত নমুনা সংগ্রহ ও তা পরীক্ষার জন্য রামেকে প্রেরণ করছি। কারণ নাটোরে কোনো পিসিআর ল্যাব নেই। নীলফামারী প্রতিনিধি জানান, করোনা টেস্ট নিয়ে চরম ভোগান্তিতে নীলফামারীর মানুষ। সংক্রমণ যখন ঊর্ধ্বমুখী, তখন করোনা টেস্ট নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন ভুক্তভোগীরা। নমুনা দেওয়ার ৫-৭ দিন বিলম্বে রেজাল্ট পাওয়ায় বাড়ছে সংক্রমণ। সময়মতো চিকিৎসা সেবা নিতেও হচ্ছে বিলম্ব। নীলফামারীতে আরটি-পিসিআর ল্যাব স্থাপনের দাবি জানানো হলেও মাসখানেক আগে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে অ্যান্টিজেন্ট টেস্ট চালু হয়। এরপরও আস্থাহীনতার কারণে অনেকের নমুনা আরটি-পিসিআর টেস্টের জন্য দিনাজপুর কিংবা ঢাকায় পাঠাতে হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর