বুধবার, ২০ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

গাইনি ওয়ার্ডে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে রোগীসহ তিন নারী

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডের ভিতরে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েছেন রোগীসহ তিন নারী। স্বজনরা জানিয়েছেন, অচেতন করে টাকা, স্বর্ণালংকার ও মোবাইল নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। ভুক্তভোগীরা হলেন- রোগী মিতা আক্তার (২৫), তার ছোট বোন খুশি আক্তার (২০) ও আরেক রোগীর স্বজন শাহিনূর (৪০)। ঢামেক সূত্র জানায়, ভুক্তভোগীদের মধ্যে মিতা মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার চাইরপাড়া গ্রামের রিকশা চালক মামুনের স্ত্রী। তার ছোটবোন খুশি থাকেন একই উপজেলার চর বোশটমিতে। পেশায় তিনি পোশাক-কর্মী। আর শাহিনূরের বাড়ি দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলায়। তার স্বামীর নাম আবু বক্কর সিদ্দিক। গতকাল ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া জানান, সোমবার রাতে হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডের ভিতর চেতনানাশক খাইয়ে তিনজনের টাকা, স্বর্ণালংকার ও মোবাইল লুট করা হয়। তাদের স্টোমাক ওয়াশ করা হয়েছে। বর্তমানে গাইনি ওয়ার্ডের বেডেই তাদের চিকিৎসা চলছে।

মিতার শ্বশুর আনোয়ার হোসেন বলেন, চার দিন আগে মিতাকে ঢামেকের ২১২ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। তার দেখভালের জন্য ছোটবোন খুশিও সঙ্গে থাকতো। কিন্তু আনসার সদস্যরা রাতে রোগীর সঙ্গে বাড়তি লোক থাকতে দেয় না। এ জন্য তারা ওয়ার্ডের বারান্দায় ঘুমিয়ে ছিলেন। পরে মধ্য রাতে রোগীর খোঁজ নিতে গিয়ে দেখা যায়, মিতা ও তার ছোটবোন অচেতন হয়ে পড়ে আছে। একই সময়ে শাহিনূর নামে অপর এক রোগীর স্বজনকেও জুস খাইয়ে অচেতন করা হয়। অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা তার কানের  দুল নিয়ে গেছে। ভুক্তভোগী মিতা জানান, মধ্যবয়সী এক নারী দুটি জুস ও কেক দিয়ে জানান- সেগুলো তাদের শ্বশুর পাঠিয়েছেন। তাদের খেতে বলেছেন। ওই নারী দাবি করেন- তিনিও রোগী নিয়ে হাসপাতালে এসেছেন। তিনি চলে যাওয়ার পর দুইবোন মিলে জুস আর কেক খান। আর এর কিছুক্ষণ পরই অচেতন হয়ে পড়েন। এরপর কি ঘটেছে কিছুই টের পাননি তিনি। স্বজনরা জানিয়েছেন, মিতার ভ্যানিটি ব্যাগে চিকিৎসার জন্য রাখা ১০ হাজার টাকা খোয়া গেছে। এছাড়া তার বোন খুশির স্মার্ট ফোনটি নেই।

সর্বশেষ খবর