শুক্রবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা
কৃষি

মাল্টা চাষ এখন আশীর্বাদ

মনিরুল ইসলাম মণি, সাতক্ষীরা

মাল্টা চাষ এখন আশীর্বাদ

কৃষিনির্ভর জেলা সাতক্ষীরা। চিংড়ি ও মিষ্টির পাশাপাশি কুল, ওল, হলুদ এবং আমের জন্য সমৃদ্ধ এ জেলা। এখন মাল্টা চাষেও বেশ সুখ্যাতি অর্জন করেছে কৃষকরা। আম চাষের পর মাল্টা চাষেও সফলতার মুখ দেখছেন সাতক্ষীরার দি হাইব্রিড নার্সারি মালিক নুরুল আমিন। আশাশুনি উপজেলার বাহাদুরপুরে ২০ বিঘা জমিতে মাল্টা চাষ করে পেয়েছেন অভাবনীয় সাফল্য। তার দেখাদেখি মাল্টা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন অন্য কৃষকরা। নুরুল আমিন তিন যুগেরও বেশি সময় ধরে নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন কৃষি কাজের সঙ্গে। ২০০৫ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ২০১০ সালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে বৃক্ষরোপণে জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেন তিনি। তার চাষ কৌশল দেখতে সাধারণ কৃষক প্রতিনিয়তই ভিড় জমাচ্ছে মাল্টা বাগানে। গাছে থোকায় থোকায় ঝুলছে সবুজ মাল্টা। এবার বাম্পার ফলন হয়েছে। সাধারণত দুই-তিন বছরেই গাছে ফল আসে। তিনি পাইকারি মাল্টা বিক্রি করছেন ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজিতে। তার বাগানের মাল্টার আকার এবং রং বেশ সুন্দর। তার সাফল্যে আশাবাদী হয়ে উঠেছেন কৃষি কর্মকর্তারা। নুরুল আমিন জানান, আগামীতে আমের মতো মাল্টা চাষেও সাতক্ষীরা সুনাম অর্জন করবে। তিনি মাল্টা চাষের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ কৃষি অফিস ও ইউটিউব থেকে পেয়েছেন। যে কোনো ধরনের মাটিতেই মাল্টা চাষ করা সম্ভব। ৮ থেকে ১০ ফুট দূরত্বে চারা রোপণ করতে হয়। অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর মাল্টার চারা রোপণের উপযুক্ত সময়। চারার দামও কম। মাত্র ৫০ থেকে ১০০ টাকায় চারা পাওয়া যাচ্ছে। তিনি নিজেও চারা বিক্রি করছেন। মাল্টার পাশাপাশি বিদেশি কিছু ফলের চাষ ও চারা তৈরি শুরু করেছেন নুরুল আমিন। এর মধ্যে সূর্যডিম আম, পারসিমন, ডুরিয়ান, রামবুটান, অ্যাভো ক্যাডোসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফলদ গাছ রয়েছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. নূরুল ইসলাম জানান, মাল্টা লাভজনক একটি ফল। জেলার মাটি ও আবহাওয়া একটু লবণাক্ত হওয়ায় সাতক্ষীরা অঞ্চলের মাল্টা খুবই মিষ্টি। এর মধ্যে বারি মাল্টা-১ মিষ্টতায় সবচেয়ে বেশি। সাতক্ষীরা জেলায় ৬১ হেক্টর জমিতে এবার মাল্টার আবাদ হয়েছে।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর