শিরোনাম
শনিবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

ছুটির দিনে লোকারণ্য

ঈদবাজার

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছুটির দিনে লোকারণ্য

ঈদ ঘনিয়ে আসায় গতকাল ছুটির দিন শুক্রবারে ঈদের বাজারে ছিল উপচে পড়া ভিড়। বিপণিবিতানগুলো লোকে লোকারণ্য। মার্কেটের মধ্যে ও আশপাশের রাস্তাগুলোতে হাঁটার মতো অবস্থা ছিল না। সবখানেই ক্রেতাদের ভিড়। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, বিক্রেতারা বাহারি রঙের সব পোশাক সাজিয়ে রেখেছেন। কেউ পোশাক শরীরে ট্রায়াল দিচ্ছেন। কেউবা বাচ্চাদের পোশাক কেনায় ব্যস্ত। কেউবা শাড়ি, কসমেটিকস, গহনা, জুতার দোকানে ভিড় জমিয়েছেন। ছেলেদের পাঞ্জাবির দোকানগুলোতেও ছিল চোখে পড়ার মতো ভিড়। ছুটির দিন হওয়ায় পরিবারের সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কেনাকাটা সেরে ফেলছেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতাদের ভিড় বাড়তে শুরু করে। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, রোজার শুরু থেকে বেচাবিক্রি ভালো না হলেও এখন অনেক ভালো হচ্ছে। শেষ সময়টাতে এমন বিক্রিই চলবে বলে প্রত্যাশা ব্যবসায়ীদের।

বসুন্ধরা শপিং মলে দেখা গেছে ক্রেতাদের ভিড়। বিক্রেতারাও খুশি। পরিবারসহ এসে ঈদের পছন্দের পোশাক কিনছেন। শাড়ির দোকানের বিক্রেতা মো. আজমল বলেন, দোকান খোলার পর থেকে ক্রেতাদের ভিড় লেগে আছে। রোজার প্রথম দিকে ক্রেতারা তুলনামূলক কম এসেছেন। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কয়েকটি শাড়ি বিক্রি করেছি। সন্দ্বীপ ক্লথ স্টোরের বিক্রেতা রাজু জানান, বিক্রি অনেক ভালো। গত সপ্তাহে একটু কম ছিল।

বসুন্ধরায় কেনাকাটা করতে আসা সায়মা আক্তার বলেন, গত ঈদে কারও জন্য তেমন কোনো শপিং করা হয়নি। এ জন্য এবার কেনাকাটার চাপ একটু বেশি। নতুন পোশাক ছাড়া ঈদের আনন্দটা কেমন যেন মনে হয়। পরিবারের সবার জন্য কিনতে চাই।

বসুন্ধরা শপিং মলে বাবা-মায়ের সঙ্গে আসা নওরিনের বাবা শাহিন বলেন, সবার জন্য কেনাকাটা প্রায় শেষ। এখন ছুটির দিনে বেশিরভাগ কেনাকাটা সেরে ফেলতে চাই। মেয়ের জন্য জুতা কিনেছি। রাবেয়া আক্তার বলেন, গত দুই বছরে করোনার কারণে টাকা-পয়সার সংকটে ছিলাম। তখন চাকরিও চলে গিয়েছিল। এবার বছরের শুরুতে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি নিয়েছি। অল্প অল্প করে পরিবারের সবার জন্য কিছু পোশাক কেনা হয়ে গেছে। বাকিগুলো আজ শেষ করছি।

এলিফ্যান্ট রোডের পাঞ্জাবির দোকানে কর্মচারী সজীব বলেন, আমাদের শুধু ছেলেদের পাঞ্জাবি আইটেম। বিক্রি খুব ভালো হচ্ছে। গত দুই বছরের তুলনায় এবার বিক্রি বেশি। ক্রেতারাও অনেকে আসছেন। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকার পাঞ্জাবি বিক্রি করেছি। গেল বৈশাখেও বিক্রি ভালো হয়েছে। কারুজ ফ্যাশনের বিক্রেতা মো. শামীম বলেন, সকাল থেকে অনেক ভালো বিক্রি হয়েছে। এবার ক্রেতাদের অনেক সাড়া পাচ্ছি। এখানে শুধু ছোট-বড় ছেলেদের জিন্স আইটেম বিক্রি হচ্ছে। নূরজাহান সুপার মার্কেটের অ্যাসেস ফ্যাশনের বিক্রেতা তুষার বলেন, গত সপ্তাহ থেকে বৈশাখের কেনাকাটার সঙ্গে ঈদের কেনাকাটা শুরু করেছে মানুষ। ছুটির দিন হওয়ায় শুক্রবার বিক্রি অনেক ভালো হচ্ছে। গরমের জন্য এবার বাচ্চাদের টপস ও ফ্রিকুয়েন্সের গেঞ্জি বেশি কিনছে ক্রেতারা। দুই থেকে তিন ঘণ্টায় ৩০-৪০ হাজার টাকার মতো বিক্রি হয়েছে। ক্রেতারা কমই ফিরে যাচ্ছে। যার যেমন সাধ্য কিছু না কিছু ক্রয় করছেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর