শনিবার, ২৭ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

শিক্ষিকাকে কান ধরে উঠবস করানোর অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহীতে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকাকে কান ধরে উঠবস করানোর অভিযোগ উঠেছে। ফেসবুকে মাথা জোড়া লাগানো ভিডিও আপলোডের অভিযোগে প্রধান শিক্ষিকা নাজমা ফেরদৌসী তাকে এ শাস্তি দেন। তার ফোনটিও কেড়ে নেন প্রধান শিক্ষিকা। পবা উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের হাড়ুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বুধবার এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী শিক্ষিকা বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে ঘটনাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, প্রধান শিক্ষিকা নাজমা ফেরদৌসী বুধবার তার অফিস কক্ষে ওই শিক্ষিকাকে ডেকে পাঠান। এ সময় প্রধান শিক্ষিকার স্বামী শাহ নেওয়াজ সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি মোহনপুর সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক। বিদ্যালয়টির জমিদাতাও উপস্থিত ছিলেন। তাদের উপস্থিতিতে প্রধান শিক্ষিকা ওই শিক্ষিকাকে কান ধরে ওঠবস করান। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গেই তিনি সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রুনা লায়লাকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন। রবিবার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার কথা। প্রধান শিক্ষিকা বলেন, ‘ওই শিক্ষিকা অন্য এক নারীর দেহের সঙ্গে আমার মুখমণ্ডল লাগিয়ে একটি ভিডিও তৈরি ও আপলোড করেছেন। ভিডিওতে মেয়েটিকে নাচতে দেখা যাচ্ছে। ভিডিওটি সহকারী শিক্ষিকা তার নিজের ফেসবুকের স্টোরিতে দিয়েছেন।’ অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষিকা বলেন, তিনি কান ধরে ওঠবস করাননি। সহকারী শিক্ষিকা যে অপরাধ করেছেন, তা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার আওতায় পড়ে। মামলা থেকে বাঁচার জন্য এখন মিথ্যা অভিযোগ সাজিয়েছেন।

ওই সহকারী শিক্ষিকা বলেন, তিনি প্রধান শিক্ষিকার মাথা জোড়া লাগিয়ে কোনো ভিডিও আপলোড করেননি। তিনি প্রধান শিক্ষিকার বান্ধবীর সঙ্গে তোলা সুন্দর, ভদ্র একটি ছবি ফেসবুক স্টোরিতে দিয়েছিলেন। ওই ছবি প্রধান শিক্ষিকা নিজেই হোয়াটস অ্যাপে তাকে দিয়েছিলেন। তিনি আরও বলেন, সে সময় প্রধান শিক্ষিকা তিন দিনের ছুটিতে ছিলেন। গত রবিবার তিনি বিদ্যালয়ে এলে একজন শিক্ষিকা বিষয়টি বলে দেন। সেদিনই প্রধান শিক্ষিকা তার ফোনটি কেড়ে নেন। এখনো ফেরত দেননি। বুধবার তাকে কান ধরে ওঠবস করান।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর