বুধবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা
গ্রামীণ টেলিকম

পাঁচজনের ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের তিন নেতা ও একজন আইনজীবীসহ পাঁচজনের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে। এই অ্যাকাউন্টে ৩৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা জমা রয়েছে। এর আগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এই পাঁচজনের ১৯টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ও আদালতে চিঠি দেয়। গতকাল দুদকের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন। দুদক সূত্র জানায়, গ্রামীণ টেলিকমের আইনজীবী ইউসুফ আলী ও জাফরুল হাসান শরীফের তিনটি ব্যাংক হিসাব এবং ইউসুফ আলীর ল ফার্মের একটি অ্যাকাউন্টে থাকা ১৬ কোটি টাকার কথা বলা হয়েছে ফ্রিজের তালিকায়। এ ছাড়া গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়ন নেতা কামরুজ্জামান, ফিরোজ মাহমুদ হাসান ও মো. মাইনুল ইসলামের ১৫টি অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়। যেখানে জমা রয়েছে ১৭ কোটি ৪০ লাখ টাকা। শ্রমিকদের টাকা অবৈধভাবে গ্রহণ করার অভিযোগে ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলো ফ্রিজ করা হয়। শ্রমিক ও গ্রামীণ টেলিকম সমঝোতা চুক্তি অনুযায়ী গ্রামীণ টেলিকমের ১২ বছরের লভ্যাংশ ৪৩৭ কোটি টাকা শ্রমিক কর্মচারীদের মধ্যে বণ্টন হওয়ার কথা থাকলেও ২৬ কোটি টাকার হিসাবে গরমিল পাওয়া যায় বলে দুদকের অনুসন্ধানে জানা গেছে। শ্রমিকদের টাকা বণ্টন না হয়ে গ্রামীণ টেলিকম এমপ্লোয়ি ইউনিয়ন অ্যাকাউন্টে জমা করা হয়েছিল।

এ বিষয়ে গত ২৫ আগস্ট গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল ইসলাম, আইনজীবী ইউসুফ আলী ও জাফরুল হাসানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। যদিও জিজ্ঞাসাবাদে শ্রমিকদের অর্থ আত্মসাৎ হয়নি বলে দাবি করেন তারা। গ্রামীণ টেলিকমে শ্রমিক ছাঁটাইকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন শ্রমিক অসন্তোষ চলছিল। শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সঙ্গে আলোচনা না করেই এক নোটিসে ৯৯ কর্মীকে ছাঁটাই করে গ্রামীণ টেলিকম কর্তৃপক্ষ। গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করে ঢাকার কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতর। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের উপ-মহাপরিদর্শক গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সংবলিত একটি প্রতিবেদন দুদকে পাঠায়। সেই অভিযোগ পর্যালোচনা করে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর