রবিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

বাংলাদেশি এনআইডি নিয়ে বিড়ম্বনা

যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি

নিউইয়র্কের নীরব সমাজকর্মী এবং রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টর আনোয়ার হোসেন অভিযোগ করে বলেছেন, ‘দেশপ্রেমে তাড়িত হয়ে বাংলাদেশি পাসপোর্ট বহন করা সত্ত্বেও যখন সোনালী এক্সচেঞ্জে (সোনালী ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান) গেলাম, তখন আমাকে জানানো হলো যে, এনআইডি কার্ড ছাড়া আপনি ফরেন এক্সচেঞ্জ অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন না। এতে আমি বিস্মিত হয়েছি, হতবাক হয়েছি। কারণ, বিশ্বের বিভিন্ন এয়ারপোর্ট অতিক্রমের সময় বাংলাদেশি পাসপোর্ট দেখে নানা বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়। তির্যক দৃষ্টি নিক্ষেপ করেন কোনো দেশের কাস্টমস কর্মকর্তা। এতদসত্ত্বেও আমি আমার দেশকে ভালোবাসি, তাই সেই পাসপোর্ট বহন করছি।’

আনোয়ার হোসেন আরও বলেন, ‘দীর্ঘ ৩০ বছরেরও অধিক সময় পর আমার মনে হচ্ছে, বাংলাদেশি পাসপোর্ট রেখে আমি অন্যায় করেছি এবং আরেকটি বিষয়ে খুব অবাক লাগে, এনআইডি কার্ড মনে হচ্ছে পাসপোর্টকে অবদমিত করছে। এটা বিশ্বাস করতেও লজ্জা লাগে। কারণ আমার গ্রিনকার্ড আছে। সেটি দেখালে কিংবা যারা আমেরিকান পাসপোর্ট বহন করেন, সেটি দেখানোর পর স্টেট আইডির কোনোই প্রয়োজন হয় না। তাহলে কেন বাংলাদেশের পাসপোর্ট এনআইডির পরিপূরক হবে না? কেন পাসপোর্টে এফসি অ্যাকাউন্ট করতে পারব না?’ তিনি জানান, নানাবিধ কারণে গত আট/নয় বছর আমি বাংলাদেশে যেতে পারিনি বলে এনআইডি কার্ড সংগ্রহ করার সুযোগ হয়নি। এজন্য প্রচণ্ড ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও অ্যাকাউন্ট খোলা সম্ভব না হওয়ায় আমি মাতৃভূমিতে বিনিয়োগের সুযোগ নিতে সক্ষম হচ্ছি না।’ নিউইয়র্ক সিটির জ্যামাইকায় সপরিবারে বসবাসরত খুলনার সন্তান আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমার স্ত্রী-সন্তানরা সিটিজেনশিপ নিয়েছেন। তারা আমেরিকার পাসপোর্ট বহন করছেন। কিন্তু আমি নেইনি লাল-সবুজের বাংলাদেশের আবহে বাকিটা জীবন অতিবাহিত করার জন্য। এ অবস্থায় মাঝেমধ্যেই নানা ধরনের বিড়ম্বনা দেখলেই স্ত্রী-সন্তানেরা তিরস্কার করেন। আমার মতো আরও অনেক প্রবাসী এমন পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছেন। এর অবসান দরকার।’

অভিযোগ অনুযায়ী, মন্ত্রী এমপি আমলা স্পিকার, প্রেসিডেন্টসহ সবাই প্রবাসীদেরকে দেশে বিনিয়োগর করার জন্য আহ্বান জানান। অথচ সহজে বিনিয়োগের ক্ষেত্র এখনো তৈরি করা হয়নি। এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রে সোনালী ব্যাংকের একটি পূর্ণাঙ্গ শাখা খোলার দাবির প্রতিও সংশ্লিষ্টদের আন্তরিক কোনো আগ্রহ পরিলক্ষিত হচ্ছে না। এমনকি ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাস কিংবা নিউইয়র্ক ও লসএঞ্জেলেস কনস্যুলেটে বিনিয়োগ-সেল খোলার ব্যাপারেও কোনো তৎপরতা পরিলক্ষিত হচ্ছে না। অথচ বিনিয়োগের স্বার্থেই এগুলো জরুরি।

 

সর্বশেষ খবর