বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

মাকে ভর্তি করাতে গিয়ে হয়রানির শিকার চিকিৎসক

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কিছু কর্মচারীর বিরুদ্ধে বকশিশের নামে জোরপূর্বক অর্থ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি নিজের মাকে ভর্তি করাতে গিয়ে হয়রানির শিকার হন   এ বি এম রাশেদুল আমীর নামে এক চিকিৎসক। এ ঘটনায় তার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে হাসপাতালের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া দুই কর্মচারী মাসুদ ও ঝর্ণা বেগমকে গতকাল বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া হৃদরোগ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হরিপদ সরকারকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন হাসপাতালের পরিচালক। কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন- হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মোস্তফা জামান চৌধুরী ও ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার ডা. আবুল হাসান। কমিটিকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। জানা গেছে, হাসপাতালের অর্থোসার্জারি বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট এ বি এম রাশেদুল আমীর অসুস্থ মাকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে গিয়ে বকশিশ সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে হয়রানির শিকার হন। রাশেদুল আমীর অভিযোগ করেন, ১৭ সেপ্টেম্বর তার মা হৃদরোগে আক্রান্ত হলে হাসপাতালে ভর্তি করাতে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন স্বজনরা। জরুরি বিভাগে ভর্তির জন্য ২৫০ টাকা দাবি করা হয়। পরে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মা পরিচয় জানতে পেরে তারা ৫০ টাকা ভর্তি বাবদ নেন। যদিও হাসপাতালে নির্ধারিত ভর্তি ফি ২৫ টাকা এবং সরকারি কর্মকর্তার মা এবং অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তার স্ত্রী হিসেবে ভর্তি ফি নেওয়ার কথা নয়। তিনি বলেন, এরপর মাকে সিসিইউতে নেওয়া হলে সেখানে জরুরি বিভাগে কর্মরত দুজন জোরপূর্বক আমার ব্যক্তিগত সহকারীর কাছ থেকে ২০০ টাকা বকশিশ নেন।

এ সময় তাদেরকে আমার নাম পরিচয় এবং রোগী সম্পর্কে জানানো হলে তারা বলে ‘যে স্যারের মা হোক, টাকা দিতে হবে’।

আমি রাতে আসার পর মায়ের শয্যা পাশে অবস্থানকালে সিসিইউতে কর্মরত ওয়ার্ড বয় পরিচয়ধারী মাসুদ আমার কাছে সরাসরি টাকা দাবি করে। এ সময় আমি সেই কথাবার্তার কিছু মুহূর্তের ভিডিও ধারণ করি। হয়রানি ও আর্থিক নির্যাতনের বিষয়ে রমেক হাসপাতালের পরিচালক বরাবর তিনি ১৮ সেপ্টেম্বর একটি লিখিত অভিযোগ দেন। এ ব্যাপারে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. শরীফুল হাসান জানান, তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সর্বশেষ খবর