শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

প্যাকেটজাত খাবারে অতিমাত্রায় লবণ!

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশে প্রাপ্ত প্রক্রিয়াজাত প্যাকেট খাবারের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশে নিরাপদ মাত্রার চেয়ে বেশি লবণ পাওয়া গেছে। ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ পরিচালিত ‘অ্যাসেসমেন্ট অব সল্ট কন্টেন্ট অ্যান্ড লেবেল কমপ্লায়েন্স অব কমনলি কনজিউমড প্রোসেসড প্যাকেজড ফুডস অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে এ গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের রিজলভ টু সেইভ লাইভস ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের এ গবেষণার সহায়তায় ছিল। অনুষ্ঠানে গবেষণা উপস্থাপন করেন ড. আহমেদ খাইরুল আবরার। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য অধ্যাপক আবদুল আলিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আক্তারুজ্জামান, গবেষণা সমন্বয়কারী ডা. শেখ মো. মাহবুবুস সোবহান, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের গবেষকসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। ড. আহমেদ খাইরুল আবরার বলেন, বাজারে বহুল প্রচলিত ৬১ শতাংশ বিস্কুট, চিপস, চানাচুর, নুডলস, ইনস্ট্যান্ট স্যুপ, ঝালমুড়ি, আচার, চাটনি ইত্যাদি প্রক্রিয়াজাত প্যাকেট খাবারে নিরাপদ মাত্রার চেয়ে বেশি লবণ পাওয়া গেছে। ৩৪ শতাংশ খাবারে নিরাপদ মাত্রার দ্বিগুণ অর্থাৎ ১ দশমিক ৫ গ্রামের বেশি লবণ পাওয়া গেছে। একইভাবে আচার ও চাটনির ৮৩ শতাংশ, চিপসের ৬৩ শতাংশ এবং ডাল বুট ভাজার ৬০ শতাংশে দ্বিগুণ লবণ রয়েছে বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। চিপস, ডাল-বুটেও নির্ধারিত মাত্রার লবণ নেই। গবেষণায় বলা হয়, সরকারিভাবে প্রক্রিয়াজাত খাবারে লবণের সর্বোচ্চ কোনো সীমা নির্ধারণ করা নেই। যার ফলে কোম্পানিগুলো তাদের পণ্যে ইচ্ছামতো লবণ যোগ করে। যদিও মোড়কবদ্ধ খাদ্য লেবেলিং প্রবিধানমালা ২০১৭ অনুসারে, প্রক্রিয়াজাত খাবারে বিদ্যমান লবণের পরিমাণ মোড়কের লেবেলে উল্লেখ করা বাধ্যতামূলক।

 

 

সর্বশেষ খবর