বৃহস্পতিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

সোহেল-নিরবসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা ৪৫ জনের বিরুদ্ধে

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল ও যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম নিরবসহ ৪৫ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। গতকাল পল্টন ও রমনা থানার পৃথক দুই মামলায় ঢাকার দুটি আদালত থেকে এ পরোয়ানা জারি করা হয়।

এর মধ্যে রাজধানীর পল্টন থানার মামলায় হাবিব উন নবী খান সোহেলসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরীর আদালত। এ দিন মামলার ধার্য দিনে তারা আদালতে হাজির না হয়ে সময়ের আবেদন করেন। আদালত সময়ের আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এ মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা দাবিতে ঢাকা মহানগর অবরোধ কর্মসূচি ছিল। ওইদিন হেফাজতে ইসলাম, জামায়াত-শিবির ও বিএনপির অঙ্গসংগঠনের অজ্ঞাতনামা ১০০-১৫০ নেতা-কর্মী উগ্র ও জঙ্গি রূপ ধারণ করে বিভিন্ন সরকারবিরোধী স্লোগান দিতে থাকে। অস্ত্রশস্ত্র, ইটপাটকেল, বাঁশের লাঠি, লোহার রড, হকিস্টিক নিয়ে রাস্তায় যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয়। হত্যার উদ্দেশ্যে ককটেল ও হাতবোমা নিক্ষেপ করে। এতে অনেক পুলিশ সদস্যসহ অন্যরা আহত হন। এ ঘটনায় তৎকালীন পল্টন থানার উপপরিদর্শক সঞ্জয় কুমার দাস বাদী হয়ে মামলা করেন।

অন্যদিকে রাজধানীর রমনা থানার নাশকতার মামলায় যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম নিরবসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. আসাদুজ্জামান নুর। আসামিপক্ষের সময়ের আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চকবাজার বিশেষ আদালতে রায় ঘোষণার দিন বিএনপির প্রায় দেড় হাজার নেতা-কর্মী মারাত্মক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে রাস্তায় চলাচলরত গাড়ি ভাঙচুর করেন। এ ঘটনায় পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল ছুড়ে ও ট্রাফিক বক্স ভাঙচুর করেন তারা। এতে কতিপয় পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় রমনা থানার উপপরিদর্শক এস এম খায়রুল বাশার বাদী হয়ে ১৮০ জনের নামে মামলা করেন।

সর্বশেষ খবর