শুক্রবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

পোলিং এজেন্টকে পিলারে বেঁধে রাখলেন কর্মকর্তা

নোয়াখালী প্রতিনিধি

পোলিং এজেন্টকে পিলারে বেঁধে রাখলেন কর্মকর্তা

নোয়াখালীর সদর উপজেলায় এক পোলিং এজেন্টকে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখার অভিযোগ উঠেছে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মেসবাহ উদ্দিনের বিরুদ্ধে। গতকাল দুপুর ২টায় উপজেলার নোয়াখালী ইউনিয়নের পশ্চিম চর উড়িয়া আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নোয়াখালী ইউনিয়নের পশ্চিম চর উড়িয়া আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে  ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী

সদস্য প্রার্থীর (তালগাছ প্রতীক) পোলিং এজেন্টের দায়িত্ব পালন করছিলেন সেলিম। কেন্দ্রে এক নারী ভোটারকে ইভিএমে ভোট দেওয়ার পদ্ধতি দেখিয়ে দেওয়ার অভিযোগে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মেসবাহ উদ্দিন তাকে স্কুলের পিলারের সঙ্গে বেঁধে রাখেন।

সেলিম দাবি করেন, নারীরা কখনো ইভিএমে ভোট দেননি। আমি তাদের দেখিয়ে দিয়েছি। আমাকে এভাবে বেঁধে রাখার চেয়ে মেরে ফেললে ভালো হতো। নোয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সদর উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জুলকার নাইন বলেন, সাময়িক সময়ের জন্য সম্ভবত এ ঘটনা ঘটেছে। তিনি এ বিষয়ে আর কিছু জানেন না।

প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমাকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বলেছেন বাঁধন খুলে দিতে। আমি খুলে দিয়েছি।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মেসবাহ উদ্দিন এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি। তিনি জানান, নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা প্রধান। তিনি এ বিষয়ে কথা বলবেন।

উল্লেখ্য, জেলার সদর উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৩৫, সাধারণ সদস্য পদে ৯৫ এবং সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৬০ জনসহ ১৯০ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৩৮টি কেন্দ্রের ২৫৯টি বুথে ইভিএমে বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে।

সর্বশেষ খবর