শুক্রবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

ডেকে নিয়ে ছিনতাইয়ের পর নদীতে ফেলে ব্যবসায়ী-কর্মচারীকে হত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক

পুরান ঢাকার চকবাজারে প্লাস্টিকের কাঁচামাল ব্যবসায়ী ও কর্মচারীকে অপহরণের পর হত্যার ঘটনায় জড়িত চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ছয়টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন- নুরুজ্জামান হাওলাদার, আ. আজিজ শিকদার, হাফেজ চৌকিদার ও দেলোয়ার হোসেন মোল্লা ওরফে দেলু। গতকাল দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব জানান যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম) বিপ্লব বিজয় তালুকদার। তিনি বলেন, গত ১৫ ডিসেম্বর প্লাস্টিকের কাঁচামাল ব্যবসায়ী জুয়েল শিকদারের বাবা তার ছেলের নিখোঁজের বিষয়ে চকবাজার মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পুলিশ তদন্তে নেমে জুয়েল শিকদার ও তার কর্মচারী মোর্শেদ আলমের সর্বশেষ অবস্থান বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলায় নিশ্চিত করে। পুরান ঢাকার ব্যবসায়ী জুয়েল শিকদার প্লাস্টিকের পণ্য কিনে রিসাইকেল করে বিক্রি করতেন। আর সেই প্লাস্টিকের পণ্য বিক্রির ফাঁদে ফেলে জুয়েল ও তার কর্মচারী মোর্শেদকে বরিশালে নিয়ে যাওয়া হয়। তার পূর্বপরিচিত দেলোয়ার হোসেন মোল্লা নামে এক ব্যক্তি তাকে অল্প দামে প্লাস্টিকের কাঁচামাল কেনার প্রস্তাব দেন। ব্যবসায়ী জুয়েল ও তার কর্মচারী গত ১৪ ডিসেম্বর বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ থানার উলানিয়া ঘাটে যান। এ ঘটনায় তিন দিন পর বরিশালের মুলাদী ও ইলিশায় প্লাস্টিক ব্যবসায়ী জুয়েল এবং তার কর্মচারী মোর্শেদের লাশ পাওয়া যায়। এরপর নিহত জুয়েলের বাবা চকবাজার থানায় মামলা করেন। পরবর্তীতে তথ্য-প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ব্যবসায়ী জুয়েল শিকদার ও তার কর্মচারী মোর্শেদ আলম হত্যাকান্ডে জড়িত চারজনকে বরিশালের বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, অপহরণকারীরা পরস্পর যোগসাজশে নিহতদের বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলায় নিয়ে যায়। পরে তাদের মাছ ধরার ট্রলারে উঠিয়ে মেঘনা নদীর মাঝামাঝি নিয়ে জোরপূর্বক টাকা ছিনিয়ে নেয়। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ভুক্তভোগীদের চোখে মরিচের গুঁড়া দিয়ে গলা চেপে ধরে মৃত্যু নিশ্চিত করে নদীতে ফেলে দেয়। গ্রেফতার ব্যক্তিরা সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্রের সদস্য। তারা এর আগেও এ ধরনের অপরাধ করেছে।

সর্বশেষ খবর