শুক্রবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

৬ কোটি খরচেও অচল হাসপাতাল

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময় চালুর দাবি উঠেছিল সদর হাসপাতালটি। দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় সেটি চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়। এক সময় হাসপাতালটি ছিল রাজশাহী ও আশপাশের জেলার রোগীদের অন্যতম ভরসার জায়গা। শত বছরের পুরনো ভবনে হাসপাতালটি আর চলছিল না। দেড় যুগ ধরে বন্ধই পড়ে থাকে। গত বছর জেলায় অতিরিক্ত করোনা রোগীর চাপে বন্ধ হাসপাতালটি ফের চালুর কথা ভাবা হয়। ৬ কোটি টাকার বেশি খরচ করে সংস্কার করা হয়। সেই কাজ শেষ হয় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে। তবু অব্যবহৃত পড়ে আছে হাসপাতালটি।

জনবলের অনুমোদন না হওয়ার কারণেই হাসপাতালটি এখনো চালু করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী। এটি চালু না হওয়ায় অতিরিক্ত রোগীর চাপ পড়ছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ১ হাজার ২০০ শয্যার এই হাসপাতালে প্রতিদিনই প্রায় আড়াই হাজার রোগী ভর্তি হচ্ছে। বহির্বিভাগেও সেবা নিচ্ছে প্রায় ৭ হাজার রোগী। পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘রাজশাহীর মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে আমিও চাই সদর হাসপাতাল চালু হোক। শুনেছি প্রয়োজনীয় জনবল চেয়ে মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছেন সিভিল সার্জন। সব ঠিক হলে হয়তো চালু করা হবে।’

রাজশাহী সদর হাসপাতাল প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯০২ সালে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার পর এর গুরুত্ব কমে যায়। ২০০৪ সালে ডেন্টাল ছাড়া অন্য সব চিকিৎসা বন্ধ হয়ে যায়। নিচতলায় দেওয়া হয় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডেন্টাল ইউনিট। দোতলাটি ব্যবহৃত হয়ে আসছিল শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের হোস্টেল হিসেবে। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালটিতে থাকা মেডিকেল কলেজের ডেন্টাল ইউনিট সদর হাসপাতাল চালুর বিপক্ষে। তাদের অসহযোগিতার কারণেই হাসপাতালটি চালু হচ্ছে না বলে অভিযোগ আছে। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে সদর হাসপাতালের নিচতলায় থাকা রামেক ডেন্টাল ইউনিটের বিভাগীয় প্রধান হাসিবুল হাসানের কার্যালয়ে গেলে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. আবু সাইদ মো. ফারুক বর্তমানে এই হাসপাতালটির তত্ত্বাবধায়ক। তিনি বলেন, ‘জনবলের বিষয়ে মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে। দ্রুত হাসপাতালটি চালু করা হবে।’

সর্বশেষ খবর