শনিবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

২২ বছর পর র‌্যাবের হাতে ধরা ভুয়া কারারক্ষী

কুমিল্লা প্রতিনিধি

কারারক্ষী পদে ২২ বছর চাকরি করেছেন তাজুল ইসলাম (৪২)। এরপর কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার ব্রাহ্মণপাড়া বাজারে তিনি ধরা পড়েন র‌্যাবের হাতে।

তাজুলের কাছ থেকে তিন সেট কারারক্ষী ইউনিফর্ম, একটি কারারক্ষী জ্যাকেট, এক সেট কারারক্ষী রেইনকোট, ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্রসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করা হয়। ব্রাহ্মণপাড়া দক্ষিণ শশীদল এলাকার মো. কালা মিয়ার ছেলে মো. তাজুল ইসলাম। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান, র‌্যাব ১১-এর কুমিল্লা কোম্পানি কমান্ডার মেজর সাকিব হোসেন। হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার শাহজাহানপুর গ্রামের মো. নুর উদ্দিন খানের ছেলে মো. মঈন উদ্দিন খান ২০০১ সালে কারারক্ষী পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে এসে শারীরিক ফিটনেস, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা দেন। উত্তীর্ণও হন। তাকে জানানো হয়, উত্তীর্ণ প্রার্থীদের স্থায়ী ঠিকানায় ডাকযোগে নিয়োগপত্র পাঠানো হবে। একই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখে কুমিল্লার তাজুলও পরীক্ষা দেন, কিন্তু অকৃতকার্য হন। পরে কৃতকার্য মঈনের পরিচয়, নাম, ঠিকানা ও অন্য সব কাগজপত্র নকল করে চাকরি নেন কুমিল্লার তাজুল ইসলাম। ২০২০ সালের শেষ দিকে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় খবর বের হয় যে, সিলেট বিভাগে ২০০ কারারক্ষী সিলেটের স্থায়ী বাসিন্দা না হয়েও প্রায় ২০-২২ বছর যাবৎ চাকরি করছেন। এর পরই মঈনের ঘটনাটি সামনে আসে। প্রকৃত মঈন এ নিয়ে আদালতে মামলা করেন। মামলার পর প্রকৃত মঈনকে ভুয়া মঈন (তাজুল ইসলাম) ১০ লাখ টাকা দিয়ে একটা রফায় আসার চেষ্টা করেন। এতে মঈন রাজি না হওয়ায় তাজুল ইসলাম আত্মগোপনে চলে যান। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভুয়া মইনকে খুঁজতে থাকেন। এর মধ্যেই তিনি লাপাত্তা হয়ে যাওয়ায় র‌্যাবের সহায়তা চান ওই কর্মকর্তা। দীর্ঘদিন অনুসন্ধান চালিয়ে র‌্যাব ভুয়া মঈনকে শনাক্ত করে।

সর্বশেষ খবর