সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সদস্যরা বলেছেন, রাষ্ট্রপতি ভাষণে সরকারের উন্নয়নের চিত্র পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তুলে ধরেছেন। অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো বলেই বিশ্বব্যাংক-

আইএমএফ বাংলাদেশের উন্নয়নে পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। আর এ উন্নয়ন সহ্য করতে পারে না বলে বিএনপি-জামায়াত দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। আওয়ামী লীগবিরোধী দেশি-বিদেশিদের এজেন্টরা একই প্ল্যাটফরমে সমবেত হয়ে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করছে। এ অপশক্তিকে প্রতিহত করতে হবে। আর কোনো খন্দকার মোশতাকের যেন জন্ম না হয় সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রীকে রক্ষা করতে সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে। উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগকে আবারও জনগণ ক্ষমতায় আনবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন। গতকাল জাতীয় সংসদ অধিবেশনে তারা এসব কথা বলেন। ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নেন- সরকারি দলের এ কে এম রহমত উল্লাহ, মোস্তাফিজুর রহমান, বজলুল হক হারুন, শামসুল হক চৌধুরী, ওয়াসিকা আয়েশা খান, মমতাজ বেগম, সুবর্ণা মুস্তাফা, সৈয়দা জাকিয়া নূর, সাইমুম সারোয়ার কমল, কাজী মনিরুল ইসলাম, শাহদাব আকবর, খোদেজা নাসরিন আক্তার প্রমুখ। জনপ্রিয় স্গংীতশিল্পী ও সরকারদলীয় এমপি মমতাজ বেগম বলেন, আমি দেশের বিভিন্ন এলাকায় যাই। শেখ হাসিনার প্রতি মানুষের ভালোবাসা দেখতে পাই। সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর ছেলে শাহদাব আকবর বলেন, বিএনপি-জামায়াত হলো আওয়ামী লীগবিরোধী দেশি-বিদেশি এজেন্টদের একটি প্ল্যাটফরম।

সুবর্ণা মুস্তাফা বলেন, বিএনপি আর জামায়াত যে পলিটিক্স করছে তা হচ্ছে হত্যা, সন্ত্রাস, ধর্মান্ধতা। এর সঙ্গে গণতন্ত্রের কোনো সম্পর্ক নেই।

খোদেজা নাসরিন আক্তার বলেন, বাংলার জনগণ রাজনীতির নামে অগ্নিসন্ত্রাস চায় না।

ওয়াসিকা আয়েশা খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগে ৩০ বছর যারা দেশের ক্ষমতায় ছিল, দেশের উন্নয়নে তাদের অবদান কী?

জাকিয়া নূর বলেন, বিএনপির জন্ম হয়েছিল ক্যান্টনমেন্টের আঁতুড়ঘরে রাতের অন্ধকারে।