বুধবার, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

চবি উপাচার্যের কক্ষ ভাঙচুরে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্যের কক্ষে ভাঙচুর করা ছাত্রলীগ কর্মীদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পার হলেও এখনো পর্যন্ত কোনো ধরনের মামলা কিংবা অভিযোগ করা হয়নি। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্তের পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে দাবি করা হচ্ছে। গতকাল বিকাল ৪টায় চবি প্রক্টর ড. রবিউল  হাসান ভূঁইয়া বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘যারা উপাচার্যের কক্ষে হামলায় জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা এ বিষয় খতিয়ে দেখতে শিগগিরই তদন্ত কমিটি করব। তদন্তের রিপোর্ট পেলে মামলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’  বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, গত সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৪১তম সিন্ডিকেট সভায় রাজনীতি বিজ্ঞান, ইসলামিক স্টাডিজ এবং মেরিন সায়েন্সেস এবং ফিশারিজসহ বিভিন্ন বিভাগের সম্প্রতি অনুষ্ঠিত মৌখিক পরীক্ষায় সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীদের নিয়োগ অনুমোদন করা হয়। রাইয়ান আহমেদ নামে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের একজন সদস্য এই নিয়োগ পরীক্ষায় চাকরি প্রার্থী ছিলেন। তিনি মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হওয়ায় বাদ পড়েন। এর জের ধরে সোমবার বিকাল ৪টায় পছন্দের প্রার্থীকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ না দেওয়ায় চবি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মঈনুল ইসলাম রাসেলের নেতৃত্বে ২০/২৫ জনের একটি দল উপাচার্যের কক্ষে ভাঙচুর চালায়। এ সময় শাটল ট্রেন বন্ধ করে দেয় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বগিভিত্তিক একাকার গ্রুপের নেতা ও চবি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মঈনুল ইসলাম রাসেল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমরা আগে থেকেই বলেছি স্বাধীনতা ও প্রগতিবিরোধী পক্ষের কাউকে চবিতে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া যাবে না। যাদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে তাদের মধ্যে শিবিরের নেতারা আছেন। এ কারণে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।’

হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুহুল আমিন সবুজ এ বিষয়ে জানান, গতকাল বিকাল ৫টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর