শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

ঢাকায় ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকায় ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ

রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে গতকাল ইসলামী আন্দোলনের সমাবেশ -বাংলাদেশ প্রতিদিন

ডেনমার্ক ও সুইডেনে পবিত্র কোরআনে অগ্নিসংযোগ এবং পাঠ্যপুস্তকে সাম্প্রদায়িক উসকানি, তথ্য ও ইতিহাস বিকৃতি, ধর্মবিরোধী মতবাদের অনুপ্রবেশ, বিজাতীয় সংস্কৃতির আধিপত্য ও ইসলামকে হেয় করার প্রতিবাদ এবং পাঠ্যপুস্তক সংশোধন করার দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। গতকাল বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে ইসলামী আন্দোলনের ঢাকা মহানগর এ সমাবেশের আয়োজন করে। একই দাবিতে সারা দেশে ইসলামী আন্দোলন সমাবেশের আয়োজন করে বলে সংগঠনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

রাজধানীতে বিক্ষোভ-পূর্ব সমাবেশে দলের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম  বলেন, মহাগ্রন্থ আল কোরআনে অগ্নিসংযোগ করে তাবৎ আল্লাহদ্রোহী শক্তিগুলো বিশ্বব্যাপী অশান্তির দাবানল জ্বালিয়ে দিয়েছে। কোরআন অবমাননাকারী গোষ্ঠী বিশ্বশান্তির জন্য হুমকি। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিকে জবাবদিহিতার আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশ সরকারকে সংসদে নিন্দা প্রস্তাব পাস করতে হবে এবং রাষ্ট্রদূতদের ডেকে প্রতিবাদ জানাতে হবে।

অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদের সভাপতিত্বে আরও বক্তৃতা করেন অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, মাওলানা মুহাম্মাদ ইমতিয়াজ আলম, কে এম আতিকুর রহমান, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা আরিফুল ইসলাম, ডা. শহিদুল ইসলাম, হাফেজ জয়নুল আবেদীন, কে এম শরীয়াতুল্লাহ, মুফতি ফরিদুল ইসলাম প্রমুখ। সমাবেশ শেষে রাজধানীতে একটি মিছিল বায়তুল মোকাররম থেকে পল্টন হয়ে বিজয়নগরে শেষ হয়।

মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, ২০২৩-এর মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যপুস্তকে জনগণের বোধ-বিশ্বাস, সংস্কৃতি ও জাতীয় স্বার্থকে উপেক্ষা করে সাম্প্রদায়িক উসকানি, তথ্য ও ইতিহাস বিকৃতি, বিতর্কিত ও অবৈজ্ঞানিক মানব সৃষ্টিতত্ত্ব অনুপ্রবেশ, ট্রান্সজেন্ডার, পৌত্তলিক ও ব্রাক্ষণ্যবাদী সংস্কৃতির আধিপত্য, ইসলামকে ভিনদেশি সাব্যস্ত করা এবং প্লেজারিজমের মতো নিন্দনীয় কাজের আশ্রয় নেওয়া হয়েছে; যা জাতি হিসেবে আমাদের জন্য উদ্বেগ ও হতাশার। তিনি বলেন, যারা বিশ্বাস করবে মানুষ আদমের সন্তান নয়, বরং কোনো জীব-জানোয়ার বা অন্য কিছু থেকে সৃষ্টি তাহলে তারা কাফের। কাজেই এই নাস্তিক্যবাদী শিক্ষা সিলেবাস এ দেশে চলতে পারে না, এর পরিবর্তন করতে হবে। মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, কারও ধর্মীয় বিশ্বাসকে অপমান করার অধিকার কারও নেই। ইসলামী শিক্ষা সিলেবাস থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। ডারউইনের নাস্তিক্যবাদী শিক্ষা শেখানো হচ্ছে শিশুদের। তিনি ইসলামবিরোধী যে কোনো ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত থেকে সরকারকে ফিরে আসার আহ্বান জানান। অন্যথায় সারা দেশে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

সর্বশেষ খবর