মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা
ঈদবাজার

জমজমাট কেরানীগঞ্জের গার্মেন্টস পল্লী

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি

জমজমাট কেরানীগঞ্জের গার্মেন্টস পল্লী

ঈদকে সামনে রেখে জমে উঠেছে ‘এশিয়ার বৃহৎ গার্মেন্টস পল্লী’ হিসেবে খ্যাত কেরানীগঞ্জের তৈরি পোশাকের মার্কেটগুলো। বুড়িগঙ্গার তীরঘেঁষা এই গার্মেন্টস পল্লীতে প্রতিদিন পাইকারদের ভিড় বাড়ছে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা খুচরা বিক্রেতারা ঘুরে ঘুরে কিনছেন পছন্দসই ঈদ পোশাক। নাওয়া খাওয়া ভুলে পোশাক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন এখানকার কারিগররা। কারও যেন দম ফেলার ফুরসত নেই। মেয়েদের থ্রি-পিস, ছেলেদের প্যান্ট, পাঞ্জাবি, শার্ট থেকে শুরু করে ছোটদের পোশাক সবকিছুই তৈরি হচ্ছে এ পল্লীতে। এখানে প্রায় ৮ হাজার তৈরি পোশাকের কারখানা রয়েছে। আর বিক্রয় কেন্দ্রের সংখ্যা রয়েছে প্রায় ১০ হাজার। সারা বছর যে ব্যবসা হয় তার ৬০-৭০ শতাংশই দুই ঈদকেন্দ্রিক। শবেবরাতের পর থেকে বিক্রি পুরোদমে শুরু হয়েছে এখানে। পোশাক কারখানার মালিকরা দেশি-বিদেশি কাপড় কিনে নিজেদের কারখানায় ঈদ পোশাক তৈরি করে থাকেন। আবার চীন, ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা পোশাক এনেও  বিক্রি করেন। কেরানীগঞ্জের পোশাক কারখানা ঘুরে দেখা গেছে, প্রত্যেকটি দোকানে ঈদের পোশাক বিক্রির ধুম লেগেছে। নাওয়া খাওয়া ভুলে কারিগররা তৈরি করছেন বাহারি ডিজাইনের ঈদ পোশাক। এমন একটি পোশাক কারখানা শাফিন প্যান্ট হাউস। সেখানে কারিগর তৈরি করছেন বিভিন্ন ডিজাইনের পোশাক। কেউ সাইজ করে কাটছেন কাপড়। কেউ আবার সেই কাপড় সেলাই করে তৈরি করছেন জিন্স প্যান্ট। অন্য স্থানে করা হচ্ছে ডিজাইনভিত্তিক অ্যাম্ব্রয়ডারির কাজ। চলতি ঈদ মৌসুমকে সামনে রেখে ইতোমধ্যেই পাইকার আসা শুরু হয়েছে এবং এ বছর ব্যবসা ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিগত বছরগুলোতে বিদ্যুৎ সমস্যার কারণে তাদেরকে অনেক অসুবিধায় পড়তে হতো। কিন্তু এখন আর বিদ্যুৎ সমস্যা নাই। যে কারণে উৎপাদন ও বিক্রি এ বছর আগের তুলনায় অনেকটাই বেশি। এ ব্যাপারে কেরানীগঞ্জ গার্মেন্টস ব্যবসায়ী ও দোকান মালিক সমবায় সমিতির  সাধারণ সম্পাদক মুসলিম ঢালী  বলেন, এখানে কোনো শ্রমিক অসন্তোষ নেই। নেই কোনো চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী। নৌপথ ও সড়ক পথে দেশের যে কোনো অঞ্চলে সহজে যোগাযোগ এবং যানজটমুক্ত এলাকা হওয়ায় দেশের যে কোনো এলাকার পাইকাররাই মন খুলে পছন্দমাফিক কেনাকাটার জন্য এখানে আসেন। কেরানীগঞ্জ গার্মেন্টস ব্যবসায়ী ও দোকান মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি হাজি মো. স্বাধীন শেখ বলেন, কেরানীগঞ্জ গার্মেন্টস ব্যবসায়ীরা এখন রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত। ব্যবসায়ীরা নিজেদের স্বাধীন মতো ব্যবসা বাণিজ্য করতে পারছেন। এখানকার বিক্রয় কেন্দ্র ও কারখানায় দুই থেকে আড়াই লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে এবার ঈদে ব্যবসা ভালো হবে।

 

সর্বশেষ খবর