মঙ্গলবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা
প্রচারণা বাড়িয়েছেন প্রার্থীরা

বিএনপি নেই, বঞ্চিতরা নিশ্চুপ, ফুরফুরে খালেক

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

খুলনা সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হয়ে মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনেছিলেন চারজন। এর মধ্যে বর্তমান সিটি মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আবদুল খালেককে পুনরায় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। বঞ্চিত মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আশরাফুল ইসলাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য রুনু রেজা (রুনু ইকবাল বিথার) ও সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম দলের সিদ্ধান্তের বাইরে প্রার্থী হচ্ছেন না। মেয়র প্রার্থী ঘোষণার পর এ নিয়ে কোনো মন্তব্যও করেননি তারা।

অপরদিকে রাজপথে ১০ দফা আন্দোলনে থাকা প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপির কেউ এ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না। ফলে সিটি নির্বাচনে অনেকটা ফুরফুরে মেজাজে আছেন ক্ষমতাসীন দলের মেয়র প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক। বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও বিভিন্ন স্বতন্ত্র প্রার্থী সীমিত পরিসরে মাঠে থাকলেও হেভিওয়েট আওয়ামী লীগ মেয়র প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা তৈরি হয়নি। জানা যায়, তফসিল অনুযায়ী খুলনা সিটি নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ১৬ মে, বাছাই ১৮ মে, প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ মে ও ভোট গ্রহণ ১২ জুন।

বিএনপি দলগতভাবে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় খুলনায় আওয়ামীবিরোধী ভোটকে টার্গেটে নিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। তাদের মতে, প্রতিটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থীরা ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে নিয়ে যাবেন। তখন মেয়র পদে আওয়ামীবিরোধী ভোট স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নির্বাচনের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে মেয়র প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, ‘অনেক আগে থেকেই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি। এমনকি আমার দলও নির্বাচনের জন্য সব প্রস্তুতি নিয়েছে। খুলনার উন্নয়নে আমি ইতিহাসের সর্বোচ্চ সরকারি অনুদান এনেছি। সে টাকায় উন্নয়নকাজ চলমান রয়েছে। প্রকল্পের কাজ শেষ হলে খুলনা নগরী তিলোত্তমা নগরীতে রূপ নেবে।’ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা বলেন, ‘সিটি নির্বাচনে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। আমরা নিরপেক্ষ নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করছি। এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে না।’

নির্বাচন প্রসঙ্গে খুলনায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী মাওলানা আবদুল আউয়াল বলেন, ‘নগরীতে মাদক, জুয়াসহ নানা ধরনের অনৈতিক কাজ চলছে। নির্বাচিত হলে এসব অনৈতিক কাজ বন্ধ করার জন্য পদক্ষেপ নেব। বর্তমানে দেশের মানুষের দাবি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। এ নির্বাচনে কোনো ধরনের কারচুপি বা অনিয়ম হলে সেটা মেনে নেওয়া হবে না। বরং এ ইস্যুতে আমাদের আন্দোলন চলবে।

বিজয়ী হলে পরিকল্পিত পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা, সড়ক, ড্রেনগুলো পরিবেশসম্মত উন্নয়ন এবং সুশাসনের মাধ্যমে উন্নত নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে কাজ করব।’

সর্বশেষ খবর