রংপুরের কাউনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে সোনা মিয়া (৫৫) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। সোমবার রাত ৮টায় খানসামারহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত সোনা মিয়া হারাগাছ নজিরদহ নয়াটারী এলাকার আবদুল খালেকের ছেলে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে কমপক্ষে ১০ জন। রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম মায়া। পুলিশ ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, সোমবার বিকালে হারাগাছে কাউনিয়া আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্য যান। বাণিজ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম মায়া ও ভাইস চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাকের নেতা-কর্মীরা পৃথক পৃথক স্লোগান দিতে থাকে। এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে উভয় পক্ষে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর রাতে আবারও খানসামারহাটে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উপজেলা চেয়ারম্যান গ্রুপের কর্মী সোনা মিয়া নিহত হন। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে হারাগাছ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান মায়া বলেন, আওয়ামী লীগের কোনো গ্রুপিং নেই। এটি সন্ত্রাসীদের কর্মকাণ্ড হতে পারে।
এ বিষয়ে কথা বলতে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাককে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।কাউনিয়া থানার ওসি মোন্তাছের বিল্লাহ বলেন, আমি ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। সেখানে গিয়ে বিস্তারিত জানানো যাবে।