কবিগুরুর অমর সৃষ্টিকাব্যের পরিবেশনার মধ্য দিয়ে ছায়ানটে শেষ হলো দুই দিনের রবীন্দ্র উৎসব। গতকাল রাজধানীর ছায়ানট মিলনায়তনে শেষ হয় দুই দিনের এ উৎসব।
‘মধুর মধুর ধ্বনি বাজে’ গানের সঙ্গে ছায়ানটের বড়দের দলের দলীয়নৃত্য পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় শেষ দিনের আসর। এরপর একক গান পরিবেশন করেন ফারহিন খান জয়িতা, অভয়া দত্ত, চঞ্চল বড়াল, আইরিন পারভীন অন্না, ঝুমা খন্দকার, রোকাইয়া হাসিনা নীলি, কাঞ্চন মোস্তফা, বুলবুল ইসলাম, উর্মী রায় বর্ণা, ইফ্ফাত বিনতে নাজির, মহিউজ্জামান চৌধুরী ময়না, সামিয়া আহসান, ফাহিম হোসেন চৌধুরী, লিলি ইসলাম প্রমুখ। ‘বারতা পেয়েছি মনে মনে, আমার দোসর যে জন ওগো, তুমি রবে নীরবে হৃদয়ে মম, দিনশেষের রাঙা মুকুল, এমনি ক’রেই যায় যদি দিন, কাঁদালে তুমি মোরে ভালোবাসারই ঘায়ে, আমিই শুধু রইনু বাকি, চিনিলে না আমারে কি, আজ তারায় তারায় দীপ্ত শিখার, আসা-যাওয়ার পথের ধারে’ কবিগুরুর অমর সৃষ্টি এসব সুরের মূর্ছনায় মিলনায়তনে মূর্ত হয়ে ওঠেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এতে কবির কবিতা আবৃত্তি করেন জহিরুল হক খান, উম্মে হাবিবা শিবলী ও ডালিয়া আহমেদ।
মম চিত্তে নিতি নৃত্যে কে-যে নাচে গানের সঙ্গে দলীয়নৃত্য পরিবেশন করে ছায়ানটের বড়দের দল। সবশেষে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে উৎসবের সমাপ্তি ঘটে। কবিগুরুর ১৬২তম জন্মজয়ন্তী উদ্যাপনের অংশ হিসেবে সোমবার ছায়ানটে শুরু হয় দুই দিনের এ রবীন্দ্র উৎসব।
