শুক্রবার, ১২ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

চিঠিতে ক্ষমা চেয়ে ফল ফেরত চোরের

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

রাতের আঁধারে ফল-ফলাদি চুরি করত এক দল চোর। সকালে মালিকরা গাছে তাদের ফল না পেয়ে চোরদের উদ্দেশে গালিগালাজ করতে থাকে। পরে নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে চিঠির মাধ্যমে মালিকের কাছে ক্ষমা চেয়েছে সংঘবদ্ধ চোরের একটি দল। একই সঙ্গে চুরির ফল রাতের আঁধারে মালিকের বাড়িতে রেখে যায় তারা। এমনই এক আশ্চর্য ঘটনা ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের বাউতলা গ্রামে। মালিকের বাড়িতে চুরি করা ফল পৌঁছে দেওয়া এবং চিঠির মাধ্যমে ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি নিয়ে এখন সব মহলে আলোচনা চলছে। জানা যায়, কয়েক দিন ধরে বাউতলা গ্রামে পেঁপে, কলা, আমসহ নানা প্রকার ফল চুরির ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। শখের বশে বাড়ির আশপাশে লাগানো নানা প্রকারের ফল-ফলাদি কে বা কারা চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন ফল-ফলাদি চুরি হওয়ায় অনেকের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। সর্বশেষ গ্রামের আবু তাহের মিয়ার মেয়ে আসমা আক্তার এবং সাদ্দাম হোসেনের বাড়ি থেকে কলা ও পেঁপে চুরি হয়। এ নিয়ে আসমা আক্তার কষ্টে বকাঝকা করেন। বিষয়টি চোরের মনে নাড়া দেয়। তাই দুই দিন আগে রাতের কোনো এক সময় তার বারান্দায় চুরি হওয়া একটি পাকা কলার বড় কাদি রেখে যায়। একই সঙ্গে তারা একটি চিঠিও দিয়ে যায়। চিঠিতে চোরের দল উল্লেখ করে, ‘আমরা আপনার কলাগাছ থেকে কলা চুরি করেছি। তাই আপনারা আমাদের গালাগালি করেছেন। আমরা আমাদের ভুল বুঝতে পেরেছি। তাই আমাদের পরিমাণ মতো কলা খেয়ে বাকিটা আপনার জন্য নিয়ে এসেছি। আপনারা আমাদের মাফ করে দেন। আর যদি গালাগালি করেন তাহলে বাকি কলা নিয়ে যাব।’

সাদ্দাম হোসেন বলেন, বাড়িতে কোনো গাছের ফল-ফলাদি রাখা যাচ্ছে না। শখ করে বিভিন্ন জায়গা থেকে এনে কলা, পেঁপেসহ নানা প্রকারের ফলের গাছ লাগানো হয়। অনেক গাছে ফল এসেছে। কিন্তু কে বা কারা রাতের আঁধারে নিয়ে যায়। তিনি বলেন, একটি চিঠি পাওয়ায় সন্দেহমূলক ছেলেদের হাতের লেখা দেখলে বুঝতে পারা যাবে এ কাজগুলো কারা করছে। সবার মাঝে কৌতূহল জেগেছে- গ্রামে এসব কারা করছে সে বিষয় জানার জন্য। ইউপি সদস্য জিতু মিয়া বলেন, মৌসুমি ফল মানুষ শখ করে বাড়ির আশপাশে লাগিয়ে থাকে। এসব চুরি করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা দুঃখজনক।

সর্বশেষ খবর