শুক্রবার, ২৬ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

প্রকল্প বাস্তবায়নে বদলে যাবে খুলনা

তালুকদার আবদুল খালেক

প্রকল্প বাস্তবায়নে বদলে যাবে খুলনা

খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক বলেছেন, করোনার সময় দুই বছর আমরা কাজ করেতে পারিনি। এ ছাড়া ছয় মাস আগেই পদত্যাগ করে নির্বাচন করতে হচ্ছে। ফলে সময় পেয়েছি মাত্র আড়াই বছর। এর মধ্যে ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকার কাজ করা কঠিন। তার পরও আমি সাড়ে চার শ রাস্তার কাজ শেষ করেছি। এখন দুই থেকে আড়াই শ রাস্তা-ড্রেনের কাজ চলছে। এসব কাজ শেষ হলে খুলনার দৃশ্যপট বদলে যাবে। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তালুকদার আবদুল খালেক এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, এখন যে কাজ চলমান আছে তা শেষ করতে ছয় মাসের মতো লাগবে। কিন্তু একদিকে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে, অন্যদিকে কার্পেটিংয়ের পিচ পাওয়া যাচ্ছে না। বিদেশি পিচ দিলে তা দীর্ঘস্থায়ী হয় না। আবার দেশি পিচ সাপ্লাই দিতে না পারায় ৩০-৪০টি রাস্তার কাজ বন্ধ হয়ে আছে। উন্নয়নের ক্ষেত্রে সমন্বয়হীনতা বড় বাধা উল্লেখ করে তালুকদার খালেক বলেন, অনেক ক্ষেত্রে সমন্বয়হীনতার কারণে কাজের দীর্ঘসূত্রতা ও ভোগান্তি বাড়ছে। আমরা সাউথ সেন্ট্রাল রোড, আহসান আহমেদ রোড, সামছুর রহমান রোড, টিবি ক্রস রোড, শেখপাড়া রাস্তা যখন কাজ শেষ করেছি, তখন ওয়াসা ওই রস্তায় খোঁড়াখুঁড়ি শুরু করেছে। তাদের এক একটা রাস্তায় আট-নয় মাস লাগে। যে কারণে ভোগান্তি তৈরি হয়েছে। মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার খালেক বলেন, প্রকল্পের আওতায় নিরালা খাল কবরখানা থেকে শুরু করে বুড়ো মৌলভির দরগা পর্যন্ত খনন করে পাড় বাঁধাই করে ওয়াকওয়ে করা হবে। এখানে ব্রিজ করা হবে। অবৈধ দখল থেকে উদ্ধার করা জমিতে পার্ক করা হবে। এ কাজগুলো হলেই খুলনা শহর একটা সুন্দর পরিচ্ছন্ন শহর হিসেবে বিবেচিত হবে। তিনি বলেন, রূƒপসা-ভৈরব নদ খননের জন্য একনেকে আলোচনা হয়েছে। নদী খনন না হলে আমাদের যত প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবে। পানি যেখান থেকে নামবেন সেই জায়গা যদি ঠিক না থাকে তাহলে পানি নিষ্কাশন ব্যাহত হবে। তিনি বলেন, উন্নয়ন সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয়ের জন্য সিটি গভর্ন্যান্স গড়ে তোলার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। উন্নয়ন সংস্থার সমন্বয় থাকলে সারা বছর কেডিএ, ওয়াসা, টিঅ্যান্ডটি, বিদ্যুৎ কখন কী কাজ করবে তা জানা যাবে। সমন্বিতভাবে কাজ করলে উন্নয়ন ব্যয় ও ভোগান্তি কমবে।

সর্বশেষ খবর