বৃষ্টিস্নাত শরতের স্নিগ্ধ সন্ধ্যায় সুরের মূর্ছনার সঙ্গে নৃত্যের ছন্দে শেষ হলো দুই দিনের শচীন দেববর্মণ উৎসব। উপমহাদেশের এই বিশিষ্ট সংগীতজ্ঞের অনবদ্য সংগীতে ভিন্ন এক সুরের ধারায় হারিয়ে যায় সংগীতের সমঝদার শ্রোতা।বহ্নিশিখার নৃত্যশিল্পীদের দলীয় নৃত্যের মধ্য দিয়ে গতকাল শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে শুরু হয় শচীন দেব সংগীত উৎসবের সমাপনী আনুষ্ঠানিকতা। ‘মধু বৃন্দাবনে’, ‘মমো দিল না’, ‘মালাখানি ছিল হাতে’, ও ‘প্রেম যমুনায়’ গানগুলোর সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেন আয়োজক সংগঠনের শিল্পীরা। এরপর ‘তুমি শুধু তুমি’ গানের সঙ্গে দলীয় নৃত্য পরিবেশন করে কলকাতার হালিশহরের শিল্পীরা।
একক কণ্ঠে অণিমা মুক্তি গোমেজ গেয়ে শোনান ‘তুই যে শ্যামের বাঁশিরে’, ও ‘ফুলের বনে থাকে ভ্রমর’। কিরণ চন্দ্র রায় পরিবেশন করেন ‘ঝন ঝন ঝন ঝন মন্দিরা বাজে’। সুমন চৌধুরী গান- ‘জানি ভ্রমরা কেন কথা কয় না’। শাহানা আকতার পাপিয়া শোনান ‘কেন সে যে বলল না কথা’। শ্রাবণী গুহ রায়ের কণ্ঠে গীত হয় ‘তেরে মেরে মিলান কি এ নায়না’ ও ‘আঁখি দুটি ঝরে হায়’ এবং আসিফ ইকবাল সৌরভ পরিবেশন করেন ‘কাল সাপে দংশিল আমায়’, ও ‘ঘাটে লাগাইয়া ডিঙা’ ইত্যাদি।
আমন্ত্রিত শিল্পী হিসেবে অংশ নেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কমলিকা চক্রবর্তী, ত্রিপুরার তনুজা দেববর্মণ, রাকেশ দেববর্মণ, জয়দ্বীপ দেববর্মণ, দিনেশ কুমার মিশ্র ও নারায়ণ বিশ্বাস, আসামের মঞ্জুশ্রী দাস, বিধান লস্কর, পরিমল দাস। শচীন দেববর্মণের লোক, আধুনিক ও চলচ্চিত্রের গান গেয়ে শোনান আমন্ত্রিত এসব শিল্পী।
শুক্রবার বিকালে দুই দিনের এই উৎসব শুরু হয়। এটি ছিল বহ্নিশিখা আয়োজিত ষষ্ঠ উৎসব।