নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ছাত্রলীগ কর্মী হাসিবুল বাশার হাসিব (২৫) হত্যা মামলার আসামি আবদুল লতিফ মিন্টুকে (৪৮) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত মো. রাসেল (৩৫) ওরফে শিশু রাসেলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে সোমবার দিবাগত রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার রাসেল বেগমগঞ্জের গোপালপুর ইউনিয়নের চাঁদ কাশিমপুর গ্রামের মো. দেলোয়ারের ছেলে। নিহত আবদুল লতিফ মিন্টু গোপালপুর ইউনিয়নের মহবুল্যাহপুর গ্রামের মৃত আবু মিয়ার ছেলে। পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানিয়েছেন, সোমবার দুপুরে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পরপরই রাসেলের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী তুলে নিয়ে তাকে চাঁদ কাশেমপুর গ্রামে কুপিয়ে জখম করে ফেলে যায়। রাতে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। মিন্টুর স্ত্রী রেহানা আক্তার জানান, একই ইউনিয়নের কোটরা মহব্বতপুর গ্রামের মৃত আবুল বাশারের ছেলে বেগমগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য হাসিবুল বাশার হাসিব হত্যা মামলায় মিন্টু, তার এক ভাই ও ছেলেকে আসামি করা হয়। এ ঘটনার পর রাসেলের নেতৃত্বে প্রতিপক্ষের লোকজন মিন্টুদের বাড়িতে একাধিকবার হামলা চালিয়ে ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করে। ওই মামলার গ্রেফতারের পর জামিনে মুক্তি পান মিন্টু। বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহিদুর হক রনি জানান, খবর পেয়ে এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত রাসেলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ঘটনায় স্থানীয় চৌকিদার বেলাল হোসেন বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ করেন। পুলিশ জানিয়েছে, একই ইউনিয়নের কোটরা মহব্বতপুর গ্রামের মৃত আবুল বাশারের ছেলে বেগমগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য হাসিবুল বাশার হাসিব হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ৬ নম্বর আসামি ছিলেন আবদুল লতিফ মিন্টু। এ মামলার প্রধান আসামি মিন্টুর ভাই মো. হাসন। এছাড়া মিন্টুর ছেলে জয় (২১) মামলার ৩ নম্বর আসামি। মিন্টুর ছেলে ও ভাই এ মামলায় গ্রেফতারের পর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। তাদের কাছ থেকে একটি এলজি, দুটি কিরিচ ও একটি লোহার রড উদ্ধার করে পুলিশ।
এ মামলায় গ্রেফতারের পর তিন মাস আগে জামিনে বের হন মিন্টু। ২০২২ সালের ৭ জুলাই গোপালপুর ইউনিয়নের সুবহান মার্কেটের সামনে ১১-১২ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ নেতা হাসিবুল বাসার হাসিবকে কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় হাসিবের চাচা সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে ১১ জনের নামে থানায় হত্যা মামলা করেন।