আগের সব রেকর্ড ভেঙে উষ্ণতম বছরের স্বীকৃতি পেয়েছে ২০২৩ সাল। সর্বাধিক কার্বন নিঃসরণের রেকর্ডও হয়েছে এই বছরে। মানবজাতির ইতিহাসে এর চেয়ে গরম আর কোনো বছর পড়েনি। এর মধ্যে গত অক্টোবর ছিল ১ লাখ ২৫ হাজার বছরের মধ্যে সবচেয়ে উষ্ণতম অক্টোবর মাস। ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোপার্নিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিস (থ্রিসিএস) এ তথ্য জানিয়েছে। ১৮৫০ সাল থেকে বিশ্বে তাপমাত্রার রেকর্ড রাখা হচ্ছে। এর আগে উষ্ণতম বছরের স্বীকৃতি পেয়েছিল ২০১৬ সাল। এবার সেই রেকর্ডও ভেঙে গেছে। থ্রিসিএস জানিয়েছে, চলতি বছর পর পর ছয় মাস তাপমাত্রার রেকর্ড ভাঙার পর ডিসেম্বরের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষার প্রয়োজন পড়েনি। শুধু ডিসেম্বর মাসে পরিস্থিতি পরিবর্তনের কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে ইউরোপের প্রতিষ্ঠানটি। এর আগে মার্কিন জলবায়ু এজেন্সিও ২০২৩ সালে উষ্ণতার আগের রেকর্ড ভাঙার পূর্বাভাস দিয়েছিল। এমন পরিস্থিতি সামনে রেখে দুবাইয়ে চলছে আন্তর্জাতিক জলবায়ু সম্মেলন। মঙ্গলবার সম্মেলনে ‘গ্লোবাল কার্বন বাজেট’-এর বাৎসরিক রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। তাতে দেখা যায়, জীবাশ্ম জ্বালানির কারণে কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গমন বেড়েই চলেছে, যা ২০২৩ সালে ৩ হাজার ৬৮০ কোটি টন ছুঁয়ে যাবে। ফলে ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে কার্বন নির্গমন বৃদ্ধির মাত্রা দাঁড়াবে ১ দশমিক ১ শতাংশ এবং ২০১৯ সালের তুলনায় ১ দশমিক ৪ শতাংশ। আর কার্বন নির্গমনের কারণে বাড়ছে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন। বাড়ছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যেখানে সবচেয়ে ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ। সমুদ্রের পানির উচ্চতা বৃদ্ধিতে তলিয়ে যেতে পারে বাংলাদেশের বড় এলাকা। সাগরের লবণাক্ত পানি দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে কৃষির সর্বনাশ ডেকে আনতে পারে। থ্রিসিএস-এর প্রধান কার্লো বুয়নটেম্পো বলেছেন, যত দিন গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন বাড়বে, তত দিন চলতি বছরের তুলনায় ভিন্ন ফল প্রত্যাশার কোনো অবকাশ নেই। তাপমাত্রা বেড়েই চলবে, সেইসঙ্গে তাপপ্রবাহ এবং খরাও বাড়বে।