শুক্রবার, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

কক্সবাজার থেকে রেলপথে মাদক ঠেকানোর চ্যালেঞ্জ

নেই স্ক্যানার এক্সরে মেশিন প্রশিক্ষিত ডগ স্কোয়াড

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

কক্সবাজার- চট্টগ্রাম- ঢাকার রেলওয়ে পথে মাদকের ঢল নিয়ন্ত্রণে আনতে বিশেষ জোন করার প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরে। প্রস্তাবনায় কক্সবাজার রেলওয়ে বিশেষ জোন প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় লোকবল, যাত্রীদের তল্লাশির জন্য পোর্টেবল ও আধুনিক ড্রাক ডিটেকটিং স্ক্যানার ও এক্সরে মেশিন, প্রশিক্ষিত ডগ স্কোয়াড ও ডাবল কেবিন পিকআপসহ প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম চাওয়া হয়। সম্প্রতি প্রস্তাবনাটি মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরে পাঠায় মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের চট্টগ্রাম অঞ্চল।

মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের চট্টগ্রাম অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক জাফর উল্লাহ কাজল বলেন, ‘ঢাকা-কক্সবাজার রুট চালু হওয়ায় ট্রেনে করে মাদক পাচারের তথ্য আমাদের কাছে এসেছে। তাই কক্সবাজার রেলওয়ে বিশেষ জোন করার প্রস্তাবনা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরে পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাবনার বিবেচনা এখন অধিদফতরই করবে।’

প্রস্তাবনায় বলা হয়- কক্সবাজার এক্সপ্রেস ও পর্যটন এক্সপ্রেস নামে দুটি রেল চালু হয়েছে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চলতি ফেব্রুয়ারি মাসেই চালু হবে আরেকটি কমিউটার ট্রেন। মাদক ব্যবসায়ীরা সড়কের পাশাপাশি কক্সবাজার-চট্টগ্রাম-ঢাকা রেলপথ ব্যবহার করছে।

প্রস্তাবনায় কক্সবাজার রেলওয়ে বিশেষ জোনের জন্য একজন সহকারী পরিচালকসহ ৩২ জনবল, একটি ডাবল কেবিন পিকআপ, যাত্রীদের তল্লাশির জন্য পোর্টেবল ও আধুনিক ড্রাক ডিটেকটিং স্ক্যানার ও এক্সরে মেশিন, প্রশিক্ষিত ডগ স্কোয়াড চাওয়া হয়েছে।

কক্সবাজারের সঙ্গে চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটে সরাসরি রেল চলাচল শুরু হয় গত ডিসেম্বরে। ১৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত কক্সবাজার আইকনিক রেলওয়ে স্টেশনে আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা থাকলেও সনাতন পদ্ধতিতেই চলছে নিরাপত্তা তল্লাশি। স্টেশনের প্রবেশমুখে নেই আধুনিক নিরাপত্তা সরঞ্জাম স্ক্যানার বা আর্চওয়ে। কক্সবাজার স্টেশন ও ট্রেনের দুর্বল নিরাপত্তাব্যবস্থাকে সুযোগ হিসেবে নিয়েছে মাদক মাফিয়ারা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, ‘ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুট চালু হওয়ার আগেই মাদকের কথা মাথায় রেখে নিরাপত্তা পরিকল্পনা তৈরি করা উচিত ছিল। বর্তমানে স্টেশনের নিরাপত্তাব্যবস্থা খুবই দুর্বল।

গত ১৬ জানুয়ারি কক্সবাজার থেকে রেলপথে মাদক পাচার নিয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনে ‘মাদকের ভয়ংকর নেটওয়ার্ক’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর তা নজরে এনে বিশেষ জোন করার প্রস্তাবনা পাঠায় মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের চট্টগ্রাম অঞ্চল।

 

 

সর্বশেষ খবর