দলীয় সরকার যাতে রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে ব্যবহার করতে না পারে সে জন্য স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন, নিরপেক্ষ এবং যুগোপযোগী বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলাসহ ১১ দফা দাবিতে চট্টগ্রাম, বরিশাল ও মাদারীপুরে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন পুলিশ সদস্যরা। আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) সদস্যরা অধস্তন পুলিশ সংস্কার প্লাটফরম নামে একটি ব্যানারে নগর পুলিশে কর্মরত নন বিসিএস পুলিশ সদস্যরা এসব দাবি জানান। গতকাল বিকালে নগরীর দামপাড়া পুলিশ লাইনসে বিক্ষোভ করেছেন তারা। বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত পুলিশ সদস্যরা কমিশনার কার্যালয় ভবনের সামনে অবস্থান করেন।
দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- পুলিশ বাহিনীর প্রচলিত পুলিশ আইন এবং পুলিশ রেগুলেশন্স অব বেঙ্গল অ্যাক্ট সংস্কার করে যুগোপযোগী এবং কার্যকরী করা। সাব ইন্সপেক্টর/সার্জেন্ট পদে বিদ্যমান পদোন্নতি সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন করা। সে ক্ষেত্রে পুলিশ পরিদর্শক পদ থেকে সহকারী পুলিশ কমিশনার পদে ৩০ শতাংশ সরাসরি এবং ৭০ শতাংশ পদোন্নতির মাধ্যমে পূরণ করা। পুলিশ হত্যাসহ সব স্থাপনায় ধ্বংসযজ্ঞ চালানো ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা। নিহত পুলিশ সদস্যদের পরিবারকে এককালীন আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদান, আজীবন পেনশন রেশন প্রাপ্তি এবং পরিবারের একজন সদস্যের সরকারি চাকরি নিশ্চিত করা। আহত পুলিশ সদস্যদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা। বরিশাল : বরিশালে ১১ দফা দাবিতে পৃথকভাবে সংবাদ সম্মেলন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে জেলা ও আর্মড ব্যাটালিয়ন পুলিশ। গতকাল দুপুরে জেলা ও আর্মড ব্যাটালিয়ন পুলিশ লাইনসে পৃথক দুই কর্মসূচি পালন করে তারা। সংবাদ সম্মেলনে উত্থাপিত দাবিগুলো হচ্ছে- ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র পুলিশ হত্যাসহ পুলিশের বিভিন্ন স্থাপনায় হামলাকারীদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনা, নিহত পুলিশ সদস্যের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ এবং প্রতিটি পরিবারের এক সদস্যকে সরকারি চাকরি দেওয়া, সাব ইন্সপেক্টর ও সার্জেন্ট পিএসসির এবং কনস্টেবল পুলিশ হেডকোয়ার্টারের অধীন নিয়োগ দেওয়া, পুলিশের কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টা নির্ধারণ, স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন। মাদারীপুর : মাদারীপুর পুলিশ লাইনসের প্রধান গেটের সামনে গতকাল দুপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন জেলায় কর্মরত পুলিশ সদস্যরা। এ সময় পুলিশ সদস্যরা ১১ দফা দাবি তুলে ধরেন।