ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর পুলিশ মাঠে না থাকায় বাগেরহাট, মোরেলগঞ্জ, বগুড়া, আমতলীতে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট করেছে দুর্বৃত্তরা। আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটে থামছে না ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট চিংড়ি ঘের, টোলপ্লাজাসহ অন্যান্য স্থাপনায় হামলার ঘটনা। এ থেকে রক্ষা পাচ্ছে না প্রেস ক্লাবসহ গণমাধ্যমকর্মী ও ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানও। বুধবার রাত ৮টার দিকে শরণখোলা প্রেস ক্লাবে সন্ত্রাসী হামলায় দুই সাংবাদিক আহত হয়েছেন। হামলাকারীরা শরণখোলা প্রেস ক্লাব সভাপতি প্রতিদিনের বাংলাদেশের উপজেলা প্রতিনিধি ইসমাইল হোসেন লিটন ও সাধারণ সম্পাদক কালের কণ্ঠের প্রতিনিধি মহিদুল ইসলামকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। ভাঙচুর করা হয় শরণখোলা প্রেস ক্লাবের চেয়ার, টেবিল, কম্পিউটার, ল্যাপটপসহ অন্যান্য আসবাবপত্র। লুট করা হয় প্রেস ক্লাবের আরও দুটি কম্পিউটার ও নির্মাণ কাজের জন্য রাখা ৩ লাখ টাকা। একই দিন বিকালে তালা ভেঙ্গে দখল করে নিয়েছে কচুয়া প্রেস ক্লাব। মোংলার বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নের পাইশ্যাখালী গ্রামের মৎস্য ব্যবসায়ী গোলাম মাওলা কাঁকনের ৬৫ বিঘার একটি চিংড়ি ঘেরে হামলা চালিয়ে লুটপাট, ভাঙচুর করা হয়েছে।
মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) প্রতিনিধি : মোরেলগঞ্জে কমপক্ষে ১২টি বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগ, দুটি ইউনিয়ন পরিষদ ভাঙচুর, লুট, বহু দোকান বন্ধ করে দেওয়া ও মৎস্য ঘের দখলের ঘটনা ঘটেছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া : গত সোমবার পানি উন্নয়ন বোর্ড বগুড়া অফিসে আগুন দেওয়া হয়। এতে প্রায় ২ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আলহাজ নাজমুল হক জানান, কতিপয় দুর্বৃত্ত আন্দোলনকারী সেজে পানি উন্নয়ন বোর্ড কার্যালয়ে প্রবেশ করে ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এতে আগুনে পানি উন্নয়ন বোর্ডে রেস্ট হাউস পুরোপুরি ভস্ম হয়ে যায়। রেস্ট হাউসের প্রতিটি কক্ষের এসিসহ যাবতীয় আসবাবপত্র পুড়ে গেছে।
আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি : গত সোমবার থেকে গতকাল পর্যন্ত চার দিনে অর্ধ শতাধিক লুটপাট, দখল ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনা বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। গতকাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।