বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর শনিরআখড়া এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত মো. বাবলু মৃধা (৪৭) অবশেষে জীবন যুদ্ধে হার মানলেন। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। কোটা আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই কলজে পড়ুয়া ছেলে আবু তালবকে খুঁজতে বের হয়ে নিজেই আহত হয়েছিলেন তিনি। যাত্রাবাড়ী থানার এসআই মো. কামরুজ্জামান জানান, রাত সাড়ে ৮টার দিকে যাত্রবাড়ীর শনিরআখড়ায় লাকী কমিউনিটি সেন্টারের সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন বাবলু। পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে তাকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত সোমবার সকালে মারা যান তিনি। গতকাল তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠায় পুলিশ। নিহতের ভাই মো. রুবেল জানান, বাবলুর বড় ছেলে আবু তালেব দনিয়া কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্র। ছোট ছেলে মাহিন দেড় বছর বয়সি। কোটা আন্দোলনের প্রথম থেকেই মিছিলে ছিল আবু তালেব। ১৯ জুলাই রাতে ছেলে আবু তালেবকে খুঁজতে বের হন বাবলু। তাদের বাড়ি পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার খারিজা বেতাগী গ্রামে। স্ত্রী সীমা বেগম ও দুই ছেলেকে নিয়ে যাত্রাবাড়ীর দনিয়া এলাকায় ভাড়া থাকতেন তিনি। বাবলু পেশায় রাজমিস্ত্রি ছিলেন। বিএনপির সমর্থক হিসেবে পরিচিত।