ভ্যাট ও শুল্ক ছাড়ের সুযোগের অপব্যবহার করছে একটি চক্র। স্টিল বিল্ডিং ও স্টিল পাইপ কারখানার নামে আনা কাঁচামাল (হট রোলড কয়েলস এবং জিআই, ইজি কয়েলস) কারখানায় ব্যবহার না করে অধিক মুনাফার লোভে খোলা বাজারে বিক্রি করছে। এতে বাজারে অসম প্রতিযোগিতা তৈরি হয়েছে। হাজার কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। আর বিপুল পরিমাণ ক্ষতির মুখে পড়েছেন বাণিজ্যিক আমদানিকারকরা। রাজস্ব আয় বাড়াতে বাণিজ্যিক ও শিল্পকারখানার জন্য আমদানি করা হট রোলড কয়েল এবং জিআই কয়েল/শিট আমদানির শুল্ক বৈষম্য দূর করার অনুরোধ জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা। একই সঙ্গে অতিরিক্ত কাঁচামাল আমদানির মাধ্যমে রাজস্ব ফাঁকি ঠেকাতে প্লেটস, লন্ডন মেটাল একচেঞ্জ ভ্যালু সুবিধা বাতিল করে কাস্টমস ডাটাবেজ যাচাই করার দাবি তুলেছেন তারা। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান ও শুল্ক গোয়েন্দা তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে দেওয়া আবেদনে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা বলেছেন, বাণিজ্যিক আমদানিকারকদের জন্য প্রাইম কোয়ালিটির হট রোলড কয়েল শিট প্রতি টনের অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু ৭২০ ডলার এবং কাস্টমস ডিউটি ৩২ হাজার ৬৮১ টাকা। সেখানে শিল্পকারখানার জন্য আমদানিতে অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু টনপ্রতি ৪৭০ ডলার এবং কাস্টমস ডিউটি ১৬ হাজার ৫০৯ টাকা। ফলে শিল্প আমদানিতে টনপ্রতি শুল্ক কম দিতে হচ্ছে ১৬ হাজার ১৭২ টাকা। একইভাবে প্রাইম কোয়ালিটির হট ডিপ গ্যালভারাইজড ৬০০ মিলিমিটারের কম কয়েল শিট বাণিজ্যিক আমদানির টনপ্রতি অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু ১ হাজার ১৫০ ডলার এবং কাস্টমস ডিউটি ৫১ হাজার ৭৫০ টাকা। একই পণ্য শিল্পের জন্য আমদানিতে অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু টনপ্রতি ৬১৪ ডলার এবং কাস্টমস ডিউটি ২৬ হাজার ৬০ টাকা। শিল্পের জন্য আমদানি শুল্ক কম ২৫ হাজার ৬৯০ টাকা। এ ছাড়া ৬০০ মিলিমিটারের বেশি জিআই কয়েল শিট বাণিজ্যিক আমদানির জন্য টনপ্রতি অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু ১ হাজার ১৫০ ডলার এবং কাস্টমস ডিউটি ও ট্যাক্স ৯৩ হাজার ৮৪০ টাকা। অপর দিকে শিল্পের জন্য এই কাঁচামাল আমদানিতে অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু ৬৭০ ডলার এবং কাস্টমস ডিউটি ও ট্যাক্স ২৮ হাজার ৪৪৫ টাকা। ৬৫ হাজার ৩৯৫ টাকা কম শুল্কে আমদানির সুযোগ পাচ্ছে শিল্পের কাঁচামালের জন্য। কয়েকটি অসাধু চক্র শিল্পের নামে অতিরিক্ত (প্রয়োজনের চেয়ে ৮০ শতাংশ) আমদানি করে খোলা বাজারে বিক্রি করছে। একই পণ্যের অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু ও কাস্টমস ডিউটি কমবেশি হলেও বাজারে বিক্রি হচ্ছে একই দরে। ফলে বাণিজ্যিক আমদানিকারকরা বিপুল পরিমাণ ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। ফলে সরকার হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ঋণগ্রস্ত হয়ে অনেকেরই পথে বসার উপক্রম হয়েছে। এমতবস্থায় শিল্পের জন্য আনা কাঁচামাল কারখানায় ব্যবহার নিশ্চিত করা অথবা বাণিজ্যিক এবং শিল্প আমদানির অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু এবং কাস্টমস ডিউটি বৈষম্য দূর করে সমান হারে নির্ধারণ করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। বলেছেন, এতে সরকারের রাজস্ব অনেক গুণ বৃদ্ধি পাবে। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন বলেন, সমস্যা সমাধানে সরকারের সঙ্গে বেসরকারি খাতের সমন্বয় প্রয়োজন। এ বিষয়ে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেন, বাজার ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, পণ্য ব্যবস্থাপনায় চাঁদাবাজি রোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারি বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। পণ্য উৎপাদন অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে শিল্পকারখানায় নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহের ওপর জোর দেন তিনি।
শিরোনাম
- নারায়ণগঞ্জে গার্মেন্টস শ্রমিকদের বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ
- গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে বৈষম্যহীন দেশ গড়ার আহ্বান
- যুদ্ধবিরতি ইস্যুতে নেতানিয়াহুর নিরাপত্তাসহ তিন মন্ত্রীর পদত্যাগ
- ‘কার্যকর প্রেসকাউন্সিল গঠনের মাধ্যমে গণমাধ্যমের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে’
- জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকীতে সোনারগাঁওয়ে শীতবস্ত্র বিতরণ
- আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের পরিকল্পনা সরকারের নেই : প্রেস সচিব
- মাগুরায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল
- ট্রাক চাপায় অটোরিকশা চালক নিহত, ক্ষোভে সড়ক অবরোধ
- দাবি আদায়ে আন্দোলন করতে হয় এমন দেশ চাইনি : মান্না
- জবি শিক্ষার্থীদের আবাসন সমস্যা নিরসনে কমিটি গঠন
- বরিশালে জামায়াতের কর্মী সম্মেলন উপলক্ষে মতবিনিময়
- সাতক্ষীরায় বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য ধ্বংস
- অবশেষে কার্যকর গাজা যুদ্ধবিরতি
- ছাগলকাণ্ডের মতিউরের স্ত্রীর রিমান্ড শুনানি আবারও পেছাল
- ইউটিউবের নতুন ফিচারে থাকছে যেসব সুবিধা
- জিয়াউর রহমানের জন্মদিনে বিএনপির আলোচনা সভা
- শিশুরা সবজি খেতে না চাইলে কী করবেন?
- মৌলভীবাজারে ছুরিকাঘাতে যুবদল নেতার মৃত্যু
- প্রথম পর্যবেক্ষণ উপগ্রহ মহাকাশে পাঠালো পাকিস্তান
- বিরল রোগ আইবিডি: লক্ষণ, রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা