দীর্ঘ ৫৬ ঘণ্টা শাটডাউন শেষে আজ থেকে ক্লাস-পরীক্ষা শুরু হচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে। টানা তিনদিন চার দফা দাবিতে বন্ধ ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম। গতকাল শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আন্দোলন শেষে ক্যাম্পাস খুললেও হয়নি কোনো ক্লাস-পরীক্ষা।
এদিকে গতকাল ক্যাম্পাস খুললে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও দাপ্তরিক নিয়মিত সব কার্যক্রম শুরু হয়। বিভিন্ন বিভাগ খোলা থাকলেও জরুরি কাজ ছাড়া বেশিরভাগ বিভাগের অফিস বন্ধ ছিল। এ ছাড়া বিভিন্ন বিভাগ ও দপ্তর বন্ধ থাকায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতির সংখ্যা ছিল হাতেগোনা।
এ-র আগে শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টায় যমুনা অভিমুখী কাকরাইল মসজিদের মোড়ে আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ইউজিসির চেয়ারম্যান দেখা করে সরকারের পক্ষে সব দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীদের নিয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. রইছ উদ্দিন আন্দোলনের পরিসমাপ্তি ঘোষণা করেন।
এ-র ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা গণঅনশন ভেঙে চলমান সব কর্মসূচি প্রত্যাহার করে সড়কে ছেড়ে ক্যাম্পাসে ফিরে যায়। এ-সময় গণ অনশনে থাকা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পানি পান করিয়ে অনশন ভাঙান ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ। এ ছাড়া অবস্থান কর্মসূচি শেষ করে সড়ক ছেড়ে দেয় শিক্ষার্থীরা।
এর আগে বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবিতে ক্যাম্পাস থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে ‘লংমার্চ’ শুরু করেন। লংমার্চটি মৎস্য ভবন মোড়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়লেও তা উপেক্ষা করে কাকরাইল মসজিদের সামনে এলে পুলিশ টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সাংবাদিকসহ শতাধিক ব্যক্তি আহত হন। এরপর থেকে পুলিশ হামলার বিচার নিশ্চিতসহ চার দফা দাবিতে রোদ বৃষ্টি উপেক্ষা করে টানা তিনদিন সড়কে অবস্থান নিয়ে ব্লকেড, সমাবেশ, গণ অনশনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।