ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের তফসিল ২৯ জুলাই ঘোষণা করা হবে। সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে ভোট হতে পারে বলে জানিয়েছেন ডাকসু নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে গতকাল সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এসব জানান তিনি। এ ছাড়াও তিনি নির্বাচনসংশ্লিষ্ট বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। তিনি জানান, ২৯ জুলাই ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে, সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে ভোট হতে পারে।
প্রথমবারের মতো হলের বাইরেও ভোট কেন্দ্র : নির্বাচন কমিশন ভোট কেন্দ্র ছয় জায়গায় স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে প্রথমবারের মতো হলের বাইরেও থাকবে ভোট কেন্দ্র।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভোট কেন্দ্রগুলো হলো- ১. কার্জন হল কেন্দ্রে (পরীক্ষার হল) ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল, অমর একুশে হল ও ফজলুল হক হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দেবেন; ২. শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রে জগন্নাথ হল, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ও সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের শিক্ষার্থীরা; ৩. ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে রোকেয়া হল, শামসুন নাহার হল ও কবি সুফিয়া কামাল হলের শিক্ষার্থীরা; ৪. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব কেন্দ্রে বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল ও শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দিতে পারবেন; ৫. সিনেট ভবন কেন্দ্রে (অ্যালামনাই ফ্লোর, সেমিনার কক্ষ, ডাইনিং রুম) স্যার এ এফ রহমান হল, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল ও বিজয় একাত্তর হল; ৬. উদয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে সূর্য সেন হল, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল, শেখ মুজিবুর রহমান হল ও কবি জসীমউদ্দীন হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দিতে পারবেন। এর আগে ১০ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবদুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল রুমে সাংবাদিকদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় গুজব রোধে কমিটি গঠন, তফসিল ঘোষণার ৪৫ দিনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন, ভোটদানসংক্রান্ত টিউটোরিয়াল ভিডিও প্রকাশসহ বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানায় নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থীরা ভোটার বা প্রার্থী হতে পারবেন না। ডাকসুর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সব শর্ত পূরণ করতে না পারায় ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থীরা এবারের নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। এ ছাড়া নির্বাচন কমিশন জানায়, ভোট জালিয়াতি ও অন্যের ভোট দেওয়ার প্রচেষ্টা ঠেকাতে এবার প্রতিটি ভোটারের পাশে থাকবে ছবি ও কিউআর কোড।