সংসদ নির্বাচনের আগে নতুন দলের নিবন্ধনের জন্য প্রাথমিক যাচাইবাছাইয়ে এনসিপিসহ ১৬টি দল উত্তীর্ণ হয়েছে। দ্রুত নির্বাচন কমিশন এসব দলের কার্যক্রম মাঠপর্যায়ে যাচাইবাছাইয়ের জন্য সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠিয়ে দেবে। তবে উত্তীর্ণ দলের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানা গেছে।
এরপর নিবন্ধনের জন্য চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন। গতকাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ। তিনি বলেন, আমরা এনসিপিসহ ১৬টি দলের তালিকা করেছি। এখন মাঠপর্যায়ে তদন্তের জন্য পাঠানো হবে।
এর আগে প্রাথমিক বাছাইয়ে কোনো দল উত্তীর্ণ না হওয়ায় সব দলকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত সময় দিয়ে তথ্য ও ঘাটতি পূরণ করতে বলেছিল ইসি। এরপরে জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) ৮০টি দল নিবন্ধন শর্ত পূরণের তথ্য নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা দিয়েছে গত ৩ আগস্ট। গত ২২ জুন পর্যন্ত ১৪৫টি দল নিবন্ধন পেতে ১৪৭টি আবেদন করেছিল। তবে প্রাথমিক বাছাইয়ে কোনো দলই শর্ত পূরণ করতে পারেনি। তাই জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) ১৪৫টি দলকেই প্রয়োজনীয় ঘাটতি পূরণে ১৫ দিন সময় দেওয়া হয়েছিল। গত ৩ আগস্ট বিকাল ৫টায় সে সময় শেষ হয়। আইন অনুযায়ী, নিবন্ধন পেতে ইচ্ছুক দলের একটি কেন্দ্রীয় কমিটি, এক তৃতীয়াংশ জেলা ও ১০০টি উপজেলা কমিটি এবং প্রতিটি কমিটিতে ২০০ ভোটারের সমর্থনের প্রমাণ থাকতে হয়। এ ছাড়া কোনো দলের কেউ আগে সংসদ সদস্য থাকলে বা আগের নির্বাচনের ৫ শতাংশ ভোট পেলেও নিবন্ধন পাওয়ার যোগ্যতা হিসেবে ধরা হয়। এ প্রধান শর্তগুলো ছাড়াও বেশ কিছু নিয়মকানুন মেনে আবেদন করতে হয়। প্রাথমিক বাছাইয়ে এসব নিয়মকানুন সাধারণত খেয়াল করা হয়।
নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় দলগুলোর আবেদন পাওয়ার পর কমিশন প্রথমে এগুলো প্রাথমিক বাছাই করে। এরপর সেই দলগুলোর তথ্যাবলি সরেজমিন তদন্ত শেষে বাছাই সম্পন্ন করে দাবি আপত্তি চেয়ে বিজ্ঞপ্তি দেয় কমিশন। সেখানে কোনো আপত্তি এলে শুনানি করে তা নিষ্পত্তি করা হয়। আর কোনো আপত্তি না থাকলে সংশ্লিষ্ট দলগুলোকে নিবন্ধন সনদ প্রদান করে ইসি। নিবন্ধন ছাড়া কোনো দল নিজ প্রতীকে ভোটে প্রার্থী দিতে পারে না।
বর্তমানে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৫১টি (আওয়ামী লীগসহ)। নবম সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০৮ সালে নিবন্ধন প্রথা চালু হয়। এ পর্যন্ত ৫৫টি দল ইসির নিবন্ধন পেলেও পরবর্তীতে শর্ত পূরণ, শর্ত প্রতিপালনে ব্যর্থতা এবং আদালতের নির্দেশে পাঁচটি দলের নিবন্ধন বাতিল করে ইসি।