রাজধানীর খিলগাঁও রেলক্রসিংয়ে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে একটি গাড়িকে বাধা দেওয়ায় দুই পুলিশকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে গাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে। গতকাল বেলা ৩টায় এ ঘটনায় আহত ট্রাফিকের দুই সদস্যকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হলেন- এএসআই রবিউল হাসান ও কনস্টেবল রবিউল ইসলাম। পরে অভিযুক্ত গাড়ির মালিক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন ওরফে রনি নামের ওই চিকিৎসককে আটক করা হয়েছে। জানা গেছে, তিনি মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত। এদিকে তাকে ছাড়াতে প্রভাবশালী একটি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা জোড় তদবির চালায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ট্রাফিক মতিঝিল বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) ফজলুল করিম বলেন, খিলগাঁও রেলক্রসিং একটি ব্যস্ত এলাকা। নিয়ম অনুযায়ী সিগন্যাল ছাড়ছিলেন। সিগন্যালের একপাশ আটকে আরেক পাশের গাড়ি ছাড়া হচ্ছিল, এমন সময় সিগন্যালে আটকে থাকা এক চিকিৎসকের গাড়ি ছাড়ার জন্য তাড়া দেওয়া হচ্ছিল। তার দিকে সিগন্যাল ছাড়লে ওই চিকিৎসকের গাড়ি সামনে আসার পর আবার আটকে দিয়ে আরেক পাশের সিগন্যাল ছাড়েন ট্রাফিক সদস্যরা। তখন ওই চিকিৎসক ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে রাগারাগি করে। টাকা নিয়ে গাড়ি ছাড়েন- এমন কথা বলতে থাকে। এ নিয়ে ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে তর্কাতর্কি হয়। পরে ওই চিকিৎসক ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যান। এর কিছুক্ষণ পরেই চার-পাঁচটি মোটরসাইকেলে ১০ থেকে ১২ জনকে সঙ্গে নিয়ে ফিরে আসেন ওই চিকিৎসক। তারা ট্রাফিক পুলিশের ওই দুই সদস্যকে কিল-ঘুষি ও লাথিসহ বেধড়ক মারধর করেন। ট্রাফিক মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) দেওয়ান জালাল উদ্দিন চৌধুরী বলেন, প্রথমে তারা এসে কনস্টেবল রবিউলের গোপনাঙ্গে লাথি মারে। এরপর উপর্যুপরি লাথি কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। সেখানে দায়িত্বে থাকা এএসআই রবিউল হাসান এগিয়ে গেলে তাকেও মারধর করা হয়। চিকিৎসক আনোয়ার হোসেনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।