চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন ১৫ অক্টোবর। নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুযায়ী, চাকসু ও হল সংসদ মিলে প্রার্থী ৯০৭ জন। চাকসুর ২৬ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪১৫ এবং হল সংসদের ১৬ পদে ৪৮৬ জন। ইতোমধ্যে ১২টি প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে। রবিবারের মধ্যে ইশতেহার প্রকাশের প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা।
প্রার্থীদের ইশতেহারে উঠে আসছে আবাসনসংকট নিরসন, ক্যান্টিনে ভর্তুকি ও মানোন্নয়ন, অবকাঠামো উন্নয়ন, নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা, শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতকরণসহ শিক্ষার্থীবান্ধব নানান প্রতিশ্রুতি। তবে এতসব প্রতিশ্রুতির ভিড়ে শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা, প্রার্থীদের প্রতিশ্রুতি যেন বাস্তবায়ন হয়। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন হৃদয় বলেন, ‘আমাদের একটি টিম শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে ইশতেহার তৈরির কাজ করছে। শিক্ষার্থীরা অনেক কষ্ট করে বাইরে থাকেন। আমরা শতভাগ আবাসনের ব্যবস্থা করতে কাজ করব। পাশাপাশি যাতায়াত স্বাভাবিক করতে ক্যাম্পাসে বাস এবং শাটলের দুটি লাইন নিশ্চিত করা জরুরি।’ ইসলামী ছাত্রশিবিরে ভিপি প্রার্থী ইব্রাহিম রনি বলেন, ‘আমরা নিরাপদ ক্যাম্পাস বিনির্মাণে কাজ করব, যেখানে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। শাটল সমস্যার সমাধান, ক্যাম্পাসে খাবারের মানোন্নয়ন, মেডিকেল সেন্টারের আধুনিকায়ন এবং চবিকে আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষার কেন্দ্রে পরিণত করার জন্য কাজ করব।’ এ এফ রহমান হলের দপ্তর সম্পাদক পদপ্রার্থী কামরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের অনেক ডকুমেন্ট আমরা সময়মতো পাই না। হলসংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীরা যেন ফিজিক্যালি উপস্থিত না থেকেও অনলাইনে প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্ন করতে পারেন, সে ব্যবস্থা তৈরি করব।’ আইন বিভাগের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী সিদ্দীকা কলি বলেন, ‘আমি এমন প্রার্থীকে ভোট দেব যিনি প্রশাসনের পক্ষে কাজ করবেন না। যার নেতৃত্ব ও দায়িত্ব পালনের প্রমাণিত অভিজ্ঞতা আছে এবং যিনি ভোটের জন্য ২৪ জুলাইয়ের চেতনার ওপর নির্ভর করছেন না।’