গাজীপুরের টঙ্গীতে কেমিক্যাল গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দুই ফায়ার ফাইটারের পর এবার মারা গেলেন দগ্ধ দোকান কর্মচারী আল আমিন হোসেন ওরফে বাবুও (২২)। গতকাল সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। চিকিৎসকরা বলছেন, বাবুর শরীরের ৯৫ ভাগ পুড়ে গিয়েছিল। আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন তিনি।
বাবুর সহকর্মী মো. আনোয়ার হোসেন জানান, যেই মার্কেটে সেদিন আগুন লেগেছিল, তার পাশের একটি হার্ডওয়্যার ও রঙের দোকানের কর্মচারী তারা। যে মার্কেটে আগুন লেগেছিল সেই মার্কেটে তাদের গোডাউন। এজন্য আগুনের খবর শুনে তারা সেখানে গিয়েছিলেন মালামাল উদ্ধার করতে। তখনই আগুনে দগ্ধ হন বাবু। স্বজনরা জানান, বাবুর গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায়। গাজীপুরের টঙ্গী পূর্ব আরিচপুর এলাকায় থাকতেন বাবু। এর আগে মারা যান শামীম ও নুরুল হুদা। তাদের শ্বাসনালিসহ শরীরের প্রায় শতভাগ পুড়ে যায়।
প্রসঙ্গত, ২২ সেপ্টেম্বর বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে গাজীপুরের টঙ্গী বিসিক এলাকায় সাহারা সুপার মার্কেটের পাশে ফেমাস কেমিক্যালস লিমিটেড নামে একটি টিনশেড সেমিপাকা গোডাউনে আগুন লাগে। খবর পেয়ে সেখানে যান ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিটের ৫৩ সদস্য। আগুন নির্বাপণের কাজ করার সময় হঠাৎ বিকট বিস্ফোরণ হলে দগ্ধ হন চার ফায়ার ফাইটারসহ আরও কয়েকজন। ফায়ার সার্ভিসের চারজনের মধ্যে জয় হাসান নামে একজনের শরীরের ৫ শতাংশ দগ্ধ হয়। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আর ইন্সপেক্টর খন্দকার জান্নাতুল নাঈমের ৪২ শতাংশ পুড়ে গেছে।