গাজীপুরের টঙ্গীতে কেমিক্যাল গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউস ইন্সপেক্টর খন্দকার জান্নাতুল নাঈম (৩৫) মারা গেছেন। গতকাল সকাল ১০টায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তার মৃত্যু হয়। বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান জানান, নাইমের শরীরের ৪২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
গত ২২ সেপ্টেম্বর ওই ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের চারজন দগ্ধ হয়েছিলেন। যাদের মধ্যে ইতোমধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৩ সেপ্টেম্বর ফায়ার ফাইটার শামীম আহমেদ ও ২৪ সেপ্টেম্বর ফায়ার ফাইটার নুরুল হুদা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। সর্বশেষ দেশের তরে আত্মত্যাগ করলেন ওয়্যারহাউস ইন্সপেক্টর জান্নাতুল নাঈম। এ ছাড়া এ ঘটনায় মারা গেছেন দোকান কর্মচারী আলআমিন হোসেন বাবু। খন্দকার জান্নাতুল নাঈম শেরপুরের নকলা উপজেলার গড়দুয়ারা ইউনিয়নের খন্দকার মোজাম্মেল হকের ছেলে। এদিকে গতকাল বেলা আড়াইটায় ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তরে জানাজা শেষে নাঈমকে অশ্রুসিক্ত বিদায় জানান সহকর্মীরা। জানাজায় উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী, অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামালসহ মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। জানাজার আগে শহীদ জান্নাতুল নাঈমের কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। এ সময় অগ্নিসেনাদের একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করে। পরে প্রয়াত খন্দকার জান্নাতুল নাঈমের সংক্ষিপ্ত জীবন বৃত্তান্ত পাঠ করা হয়।