লম্বা ছুটির চতুর্থ দিন ছিল গতকাল। সকাল থেকে ভিড় বাড়ে রাঙামাটি শহরের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে। কেউ ছবি তুলতে ব্যস্ত, কেউ কাপ্তাই হ্রদে ভ্রমণে উচ্ছ্বসিত। প্রকৃতির টানে দূরদূরান্ত থেকে এসেছেন দেশি-বিদেশি হাজার হাজার পর্যটক। বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজনদের নিয়ে আসা পর্যটকরা রাঙামাটির সুবলং ঝরনা, পলওয়েল পার্ক, ডিসি বাংলো পার্ক ও কাপ্তাই-আসাম বস্তি সড়কসহ বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে ঘুরে বেড়ান।
পর্যটক ও ভ্রমণপিপাসুদের আনন্দ ও মনোরঞ্জনের জন্য রাঙামাটিতে রয়েছে নৈসর্গিক আবেশ দর্শনীয় স্থান। সরকারি পর্যটন মোটেল ছাড়াও ডিসি বাংলো, চাং পাং, সুবলং ঝরনা, টুকটুক ইকো ভিলেজ, সুখী নীলগঞ্জ, উপজাতীয় জাদুঘর, আরণ্যক, চাকমা রাজার বাড়ি, বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আবদুর রউফের স্মৃতিসৌধসহ বিভিন্ন মনোরম ও নয়নাভিরাম স্পট এবং স্থাপনাগুলো উল্লেখযোগ্য। অবকাশ কাটাতে হাজার হাজার পর্যটক আসছেন রাঙামাটিতে। তাদের বাস, মাক্রোবাস ও প্রাইভেট কারের বহর ছাড়াও ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আসা পিকনিক বাসে ঠাসা এখন পর্যটন এলাকা। প্রাকৃতিকভাবে সাজানো স্পটগুলোতে আনন্দে মেতেছেন তারা। কেউ পাহাড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, কেউ ঝুলন্ত সেতুতে ছবি তুলছেন। কেউ স্বচ্ছ কাপ্তাই হ্রদের জলে নৌবিহারের মতো রোমাঞ্চকর ভ্রমণে যাচ্ছেন। সেখানেও গতকাল ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
রাঙামাটিতে বেড়াতে আসা স্বপন চৌধুরী বলেন, রাঙামাটি আসলে সুন্দর। বৈচিত্র্য রয়েছে এখানে। শরৎকালে না এলে রাঙামাটির প্রকৃত রূপ দেখা যায় না। এখন রাঙামাটি নানা রূপে সেজেছে।
একই অনুভূতি প্রকাশ করলেন প্রিয়াংকা চক্রবর্তী। ঢাকা থেকে জীবনে প্রথম রাঙামাটি এসেছেন। পরিবার পরিজন নিয়ে আনন্দে ভাসছিলেন। আর রাঙামাটির সৌন্দর্যের বর্ণনা করছিলেন। রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা বলেন, রাঙামাটির সব হোটেল-মোটেল অগ্রিম বুকিং রয়েছে। কোথাও তিল পরিমাণ জায়গা খালি নেই। পর্যটন মোটেলগুলো ১০০ ভাগ বুকিং।